পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বাসন্তীতে
বাসন্তী, ১৬ অক্টোবর (হি.স.): দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এদিকে সামনেই শুখা মরশুম। ফলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর আরও নেমে যাবে, তাই দুর্ভোগ আরও বাড়বে। আর সেই কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থে
পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বাসন্তীতে


বাসন্তী, ১৬ অক্টোবর (হি.স.): দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এদিকে সামনেই শুখা মরশুম। ফলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর আরও নেমে যাবে, তাই দুর্ভোগ আরও বাড়বে। আর সেই কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় বাঁশ বেঁধে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। বাসন্তী থানার অন্তর্গত কৃষ্ণপুর দত্তচক গ্রামের ঘটনা। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের পর পথ চলতি মানুষের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকা সহ বাসন্তী ব্লকের বহু জায়গাতেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এদিকে জল স্বপ্ন প্রকল্পের কাজও থেমে রয়েছে। ফলে পানীয় জলের সমস্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এবার বর্ষার মরশুমেও পানীয় জলের সমস্যা মেটেনি। তাই এই জলের সমস্যার প্রতিবাদে এদিন রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামের মানুষজন। শতাধিক মহিলা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “ দিনের পর দিন আমরা এই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছি। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সামনেই শীতকাল, ফলে জলের স্তর আরও নেমে যাবে। এখনই দূরের গ্রাম থেকে জল আনতে হয়, জানিনা এবার কীভাবে জল পাবো।” প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয় পাশের গ্রাম থেকে জল আনতে। কিন্তু শীতের মরশুমে আশপাশের টিউবওয়েলগুলিও অকেজো হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “ কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে তাই জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে। কীভাবে এই এলাকায় দ্রুত এই পানীয় জলের সমস্যা মেটানো যায় সেটা দেখা হবে।” বাসন্তীর বিডিও সঞ্জীব সরকার বলেন, “ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা জানা ছিল না। পিএইচই দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande