বক্সনগর (ত্রিপুরা), ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : অমানবিক এক ঘটনার সাক্ষী রইল সিপহীজলা জেলার কাঁঠালিয়া। অভিযোগ, তিন সন্তানের জননী শাহানা আক্তারকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্বামী জসিম মিয়া নৃশংসভাবে মারধর করার পর ধারালো দা দিয়ে মাথার চুল কেটে ফেলে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত শাহানা আক্তার (৩০)-এর বাপের বাড়ি যাত্রাপুর থানার পূর্ব পাহাড়পুর পঞ্চায়েত এলাকায়। তাঁর পিতা জামাল উদ্দিন। অভিযুক্ত স্বামী জসিম মিয়ার বাড়ি কাইচ্চাখলা এডিসি ভিলেজে। প্রায় ১২ বছর আগে তাঁদের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।
পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত জসিম মিয়া। একাধিকবার জামাইয়ের মান রাখতে জামাল উদ্দিন আর্থিক সাহায্য করলেও তার আচরণে পরিবর্তন আসেনি। দুই বছর ধরে এক লক্ষ টাকা আনার দাবিতে গৃহবধূর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল সে।
বৃহস্পতিবার সকালে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে ফের স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে জসিম মিয়া। গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়লে, সে ধারালো দা দিয়ে তাঁর মাথার চুল কেটে বাড়ির লোকজনকে দেখাতে থাকে বলে অভিযোগ। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে শাহানা আক্তারের পরিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে কাঁঠালিয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর যাত্রাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এমন অমানবিক ঘটনা ধনপুর এলাকায় আগে কখনও দেখা যায়নি। তাঁরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি ও গৃহবধূর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ