সাঁকরাইলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী, খুদমরাই পঞ্চায়েত দখলে নিল তৃণমূল
ঝাড়গ্রাম, ১৮ অক্টোবর (হি.স.): ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কেশিয়াপাতা হাই স্কুলের কমিউনিটি হলে শনিবার অনুষ্ঠিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী। নবীন ও প্রবীণ মিলিয়ে প্রায় ৫৫০ জন কর্মী-সমর্থককে এদিন সংবর্ধনা জানানো হয়। বুথ সভাপতি, অঞ্চল
সাঁকরাইলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী, খুদমরাই পঞ্চায়েত দখলে নিল তৃণমূল


ঝাড়গ্রাম, ১৮ অক্টোবর (হি.স.): ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কেশিয়াপাতা হাই স্কুলের কমিউনিটি হলে শনিবার অনুষ্ঠিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী। নবীন ও প্রবীণ মিলিয়ে প্রায় ৫৫০ জন কর্মী-সমর্থককে এদিন সংবর্ধনা জানানো হয়। বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিদের উত্তরীয় ও দুর্গা মায়ের প্রতিকৃতি তুলে দেন দলের নেতারা।

সাঁকরাইল ব্লকে মোট ১০টি অঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি অঞ্চল তৃণমূলের দখলে থাকলেও খুদমরাই গ্রাম পঞ্চায়েত এতদিন বিজেপি ও কুড়মী সমাজের জোটের হাতে ছিল। ওই পঞ্চায়েতে ৯ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের ৪, কুড়মী সমাজের ৩ এবং বিজেপির ২ জন সদস্য ছিলেন।

তবে এদিনের বিজয়া সম্মিলনীতে খুদমরাই অঞ্চলের কুড়মী সমাজের প্রধান সমীরণ নায়েক এবং ছোড়দা গ্রামের একদল বিজেপি কর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে পুরো খুদমরাই গ্রাম পঞ্চায়েতই তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে এই অঞ্চলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৫।

অন্যদিকে, সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর থেকে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য আরতি নায়েক সহ পাঁচটি পরিবার এবং লাউদহ অঞ্চল থেকেও বিজেপির আরও ১০টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দেন বলে দাবি করেছেন দলীয় নেতৃত্ব।

এই যোগদান কর্মসূচিতে নতুন সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারপার্সন বীরবাহা সরেন টুডু, রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি চূড়ামণি মাহাত, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডা. খগেন্দ্রনাথ মাহাত, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অঞ্জলি রায় দোলাই, জেলা পরিষদের মেন্টর স্বপন পাত্র, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহাশিস মাহাত, ব্লক তৃণমূল সভাপতি কমলকান্ত রাউত এবং সহ-সভাপতি অনুপ মাহাত ও ধীমান মাহাত।

তৃণমূলে যোগ দিয়ে খুদমরাই অঞ্চলের প্রধান সমীরণ নায়েক বলেন, “গত আড়াই বছর মানুষের জন্য কোনও কাজ করতে পারিনি। এখনও আড়াই বছর সময় আছে—এই সময়ে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতে চাই। তাই আজ তৃণমূলে যোগ দিলাম।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande