গুয়াহাটি, ২৫ অক্টোবর (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সকলের জন্য আরামদায়ক, সুরক্ষিত এবং মনোরম উৎসব ভ্রমণ নিশ্চিত করতে একাধিক ব্যাপক এবং যাত্রী-বান্ধব ব্যবস্থা চালু করেছে। কাটিহার, নিউ জলপাইগুড়ি, গুয়াহাটি, যোগবাণী এবং কিষাণগঞ্জের মতো প্রধান স্টেশনগুলিকে যাত্রী ইনফমেশন সিস্টেম, বিশুদ্ধ পানীয় জল, শৌচাগার, পাখা এবং পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা সহ ডেডিকেটেড হোল্ডিং এরিয়া দিয়ে সুন্দরভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের জন্য একটি স্বাগতপূর্ণ এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। যাত্রা সুচারু ও চাপমুক্ত করার জন্য সক্রিয় ভিড়ব্য বস্থাপনা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিহারের কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, বারসোই এবং যোগবাণী সহ প্রধান প্রধান স্টেশনগুলিতে মধুর ছট গীতের মাধ্যমে উৎসবের আমেজ জীবন্ত হয়ে ওঠে, যা সমস্ত ভ্রমণকারীদের জন্য এক উষ্ণ এবং আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা আজ আজ শনিবার এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, কাটিহার রেলওয়ে স্টেশনে একটি এনজিও হোল্ডিং এরিয়ায় অপেক্ষারত যাত্রীদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয়জল এবং 'সরবত' পরিবেশন করে আন্তরিক সহায়তা প্রদানের জন্য এগিয়ে এসেছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজাররা ব্যক্তিগতভাবে যাত্রী, এনজিও সদস্য এবং রেল কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাঁদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, সুবিধাগুলি যাত্রীদের আরামের সর্বোচ্চ মান পূরণ করে। যাত্রীরা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়েকে সু-ব্যবস্থিত হোল্ডিং এরিয়া এবং সুযোগ-সুবিধার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যা তাঁদের অপেক্ষাকে আনন্দদায়ক এবং সুবিধাজনক করে তুলেছে।
দুর্গাপূজা, দীপাবলি এবং ছট-এর সময় বর্ধিত ভ্রমণ চাহিদা মেটাতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিভিন্ন রুটে ৬২০টি ট্রিপ স্পেশাল ফেস্টিভ ট্রেন চালাচ্ছে। যার ফলে সমগ্র অঞ্চলে যাত্রীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং সুবিধাজনক সংযোগ নিশ্চিত করছে। প্রতিদিন ২০০টিরও বেশি ট্রেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চলাচল করে এবং হাজার হাজার যাত্রীকে দক্ষতা এবং যত্ন সহকারে সেবা প্রদান করে।
বর্ধিত সুরক্ষা এবং সুযোগ-সুবিধার জন্য স্টেশন এবং ট্রেনগুলিতে ২৪ ঘণ্টা অতিরিক্ত আরপিএফ, জিআরপি এবং বাণিজ্যিক কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। সারি ব্যবস্থাপনা, অটোম্যাটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, রিয়েল-টাইম সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ, ড্রোন, সেগওয়ে স্কুটার এবং ডিভিশনাল অফিস ও মুখ্য কার্যালয়ে ওয়ার রূমের মতো ব্যবস্থাগুলি ২৪×৭ অপারেশনাল তদারকি প্রদানকরে। যার ফলে প্রতিটি যাত্রীর জন্য সুরক্ষিত এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত হয়।
টিম ওয়ার্ক, সতর্কতা এবং যাত্রীদের প্রথম দৃষ্টিকোণের ওপর অটুট মনোযোগের সাথে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সুরক্ষিত, দক্ষ এবং আনন্দময় ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ, যা উৎসবের মরশুমের প্রকৃত চেতনা এবং যাত্রী কল্যাণের প্রতি ভারতীয় রেলের নিষ্ঠার প্রতিফল নঘটায়, দাবি করা হয়্ছে প্রেস বার্তায়।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস
