
সাব্রুম (ত্রিপুরা), ২৫ অক্টোবর (হি.স.) : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম শহরের কালীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় লেন থেকে গত ১৯ অক্টোবর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে বৈষ্ণবপুর দ্বাদশ শ্রেণি স্কুলের ছাত্রী নন্দিতা ত্রিপুরা। চনিবার সাতদিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান মেলেনি। ঘটনাকে ঘিরে এলাকাজুড়ে চরম উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেদিন সকালে নন্দিতা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে সাব্রুম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হলে, পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। রেলস্টেশন থেকে শুরু করে বাজার, আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালানো হলেও কোনও তথ্য মেলেনি। নন্দিতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিখোঁজের পর থেকেই সুইচড অফ থাকায় লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না।
তদন্তে নেমে পুলিশ নন্দিতার খাতায় একটি মোবাইল নম্বর পায়, যা হিমাচল প্রদেশের কোটা- হামিরপুর তহশিলের কৃষ্ণ ঠাকুর নামের এক যুবকের নামে রেজিস্টার করা । প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই যুবকের সঙ্গে নন্দিতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং নিখোঁজ হওয়ার আগের দিনও এই নম্বরে সে বহুবার কথা বলে বলে জানা যায়।
সূত্রের দাবি, সেই নম্বর ট্র্যাক করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, মোবাইলটির সর্বশেষ অবস্থান উত্তর প্রদেশে ধরা পড়েছিল। পুলিশের সন্দেহ, যুবকটি মেয়েটিকে নিয়ে ভুটান সীমান্তের দিকে পালিয়ে যেতে পারে। ভিন রাজ্য সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অনুসন্ধানে কিছুটা বিলম্ব হলেও, সাব্রুম থানার পুলিশ এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক -এর তত্ত্বাবধানে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, নিখোঁজের সাতদিন পার হলেও কোনও খবর না মেলায় দুপুরে বৈষ্ণবপুর এলাকার গ্রামবাসীরা সাব্রুম থানায় জমায়েত হয়। এর মধ্যেই নন্দিতার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে তড়িঘড়ি সাব্রুম মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবার জানিয়েছে, “মেয়েটির কোনও খবর না পাওয়ায় আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।”
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, কেন্দ্রীয় চাইল্ড রাইস্ট প্রোটেকশন ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাদের সহযোগিতায় নন্দিতাকে উদ্ধারের বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, আন্তঃরাজ্য সহযোগিতার মাধ্যমে দ্রুত মেয়েটিকে খুঁজে আনার চেষ্টা চলছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ