ঝাড়গ্রাম: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জঙ্গলে আবর্জনা ফেলার জের, বিপন্ন বনাঞ্চলের প্রাণীরা
ঝাড়গ্রাম, ২৬ অক্টোবর (হি.স.): বনদফতরের কড়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের অন্ধকারে দেদার আবর্জনা ফেলা হচ্ছে জঙ্গলের পাশে। শুধু তাই নয়, সেই আবর্জনার স্তুপে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র এবং বিপন্ন হ
ঝাড়গ্রাম: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জঙ্গলে আবর্জনা ফেলার জের, বিপন্ন বনাঞ্চলের প্রাণীরা


ঝাড়গ্রাম, ২৬ অক্টোবর (হি.স.): বনদফতরের কড়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের অন্ধকারে দেদার আবর্জনা ফেলা হচ্ছে জঙ্গলের পাশে। শুধু তাই নয়, সেই আবর্জনার স্তুপে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র এবং বিপন্ন হয়ে পড়ছে বন্যপ্রাণীরা।

সাম্প্রতিক ঘটনাটি ঘটেছে দহিজুড়ি পড়িহাটি পিচরাস্তায় কুশবনীর জঙ্গলে। বনদফতরের সতর্কবার্তা ও নিষেধাজ্ঞা বোর্ড উপেক্ষা করেই রাতের অন্ধকারে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, টেম্পো করে প্লাস্টিক, পলিথিন, কাঁচ, কাগজ, এমনকি বিভিন্ন কারখানার ছাই-সহ বর্জ্য পদার্থ ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আবর্জনার স্তুপে আগুন লাগার পর ধোঁয়া ও তাপে জঙ্গলের প্রাণীকুল দিশেহারা হয়ে রাস্তায় উঠে আসছে, ফলে সাপ ও ছোট প্রাণীরা লরি বা অন্যান্য গাড়ির চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে মারা পড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী বাজার এলাকার বর্জ্য পদার্থও জঙ্গলের ধারেই ফেলা হচ্ছে। অথচ পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকা সত্ত্বেও রাতের সুযোগে এসব অনিয়ম চলছে। বনদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক মাসে অন্তত তিনটি গাড়ি— পিকআপ ভ্যান, ট্র্যাক্টর ও টেম্পো— সিজ করা হয়েছে। এর আগে দুটি গাড়িকে ধরা হলেও জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার দফতর আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পোড়া ছাই ও রাসায়নিক বর্জ্য ফেলার ফলে মাটি দূষিত হচ্ছে, নতুন চারাগাছ জন্ম নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি জঙ্গলের কীটপতঙ্গ, পাখি ও ছোট প্রাণীর জীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। হাতির করিডর হিসেবেও পরিচিত এই জঙ্গলপথে প্রায়ই হাতির দল চলাচল করে, ফলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, “আমরা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছি। এর আগেও চারটি গাড়ি ধরেছি। এখন পড়িহাটি এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কেউ যদি জঙ্গলের মধ্যে আবর্জনা ফেলতে যায়, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande