প্রণবাঞ্জলি আ্যপ ও যুগের প্রণববাণী ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন
কলকাতা, ২৭ অক্টোবর (হি. স.) স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজের আবির্ভাব উপলক্ষে - ''প্রণবাঞ্জলি অ্যাপ'' ও ''যুগের প্রণববাণী'' - ইউটিউব চ্যানেল সোমবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই উদ্বোধন করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সংস্থাপক যুগাবতার
আ্যপ ও ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন


কলকাতা, ২৭ অক্টোবর (হি. স.) স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজের আবির্ভাব উপলক্ষে - 'প্রণবাঞ্জলি অ্যাপ' ও 'যুগের প্রণববাণী' - ইউটিউব চ্যানেল সোমবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই উদ্বোধন করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সংস্থাপক যুগাবতার শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের দিব্যজীবন ও কর্মপ্রেরণাকে সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়েই ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের গ্রামীণ সেবাকেন্দ্র মন্মথপুর প্রণব মন্দির এক অভিনব সাংস্কৃতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ওই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে সোমবার উদ্বোধন হল দুই সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম প্রণবাঞ্জলি - অ্যাপ এবং যুগের প্রণববাণী - ইউটিউব চ্যানেল।

এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দজী মহারাজ । তিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ সমাজের সর্বস্তরে সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কর্ম ও চিন্তাধারা মানবকল্যাণে দিশা মেলে ধরে। এই সঙ্গীত সংকলন ভক্তকুল ও সাধারণ মানুষের মনে আধ্যাত্মিক চেতনা ও কর্মপ্রেরণার নবজাগরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সেই উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম সঙ্গীত সংকলন হিসেবে ১০টি বাংলা ও ১টি হিন্দি গান। সম্পূর্ণ সংকলনে থাকবে মোট ২০টি বাংলা ও ২০টি হিন্দি গান। সংশ্লিষ্ট গানগুলি রচনা করেছেন অনুভব হাজরা ও আচার্য্য সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং সুর সংযোজন করেছেন আচার্য্য সঞ্জয় চক্রবর্তী। প্রথম পর্বে কণ্ঠ দিয়েছেন আচার্য্য সঞ্জয় চক্রবর্তী, রেশমী চক্রবর্তী, প্রাঞ্জল বিশ্বাস, বিশাখ জ্যোতি, সৌরিক, অয়েন্তিকা, সৌপ্তিক প্রমুখ শিল্পীরা। পরবর্তী সংকলনের অংশগ্রহণে জনপ্রিয় শিল্পী - কিঞ্জল চ্যাটার্জী, সৃজন চ্যাটার্জী, নির্মাল্য রায়, অঙ্কন ও অঙ্কিতা ।

প্রসঙ্গতঃ সংকলনের বিশেষ আকর্ষণ সঙ্ঘবাণী, সাধন সিদ্ধবাণী এবং হিন্দু মিলন মন্দির পাঁচালি- র মতো আধ্যাত্মিক ভাবসম্পন্ন গান। যা স্বামী প্রণবানন্দজীর ভাবধারার সঙ্গে শ্রোতাদের একাত্ম করে তুলবে ।

আয়োজক মণ্ডলীর বক্তব্য, প্রধান ও প্রথম লক্ষ্য হল - আগামীদিনে স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের দিব্য ভাবনা, কর্মনীতি ও মানব কল্যাণের বার্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া।

মূল উদ্দেশ্য - সঙ্গীত, সংস্কৃতি ও সেবার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক চেতনা বিস্তার এই সাংস্কৃতিক প্রয়াসের মাধ্যমে স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের জীবনদর্শন, কর্মনীতি ও মানবসেবার আদর্শ আগামী প্রজন্মের হৃদয়ে নতুন প্রেরণা জাগাবে, আয়োজকরা আশাবাদী।

হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত




 

 rajesh pande