১৫ দিনের মধ্যে নথিভুক্ত না হলে কড়া পদক্ষেপ, অবৈধ ক্লিনিক ও ল্যাবের বিরুদ্ধে ফতোয়া কাছাড় প্রশাসনের
শিলচর (অসম), ৮ অক্টোবর (হি.স.) : বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, প্রতিশ্রুতি ও মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে কাছাড় জেলা প্রশাসন। জেলা স্বাস্থ্য সমিতির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ঘোষণা করেছে, জেলার সকল বেসরকারি ক্
১৫ দিনের মধ্যে নথিভুক্ত না হলে কড়া পদক্ষেপ, অবৈধ ক্লিনিক ও ল্যাবের বিরুদ্ধে ফতোয়া কাছাড় প্রশাসনের


শিলচর (অসম), ৮ অক্টোবর (হি.স.) : বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, প্রতিশ্রুতি ও মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে কাছাড় জেলা প্রশাসন। জেলা স্বাস্থ্য সমিতির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ঘোষণা করেছে, জেলার সকল বেসরকারি ক্লিনিক, নার্সিং হোম, প্যাথলজি ল্যাব, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং চিকিৎসকদের চেম্বারকে অবিলম্বে ‘ক্লিনিকাল এস্টাবলিশমেন্ট (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ২০১০’ অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

আজ বুধবার শিলচরে অবস্থিত বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, রাজ্যে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর এই আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন ছাড়া কোনও ক্লিনিক্যাল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

প্রশাসনের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া সত্ত্বেও জেলার একাংশ বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাব ও চিকিৎসাকেন্দ্র এখন পর্যন্ত বৈধ নিবন্ধন সম্পন্ন করেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম-অধিকর্তা ডা. শিবানন্দ রায় স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবনে পরিচালিত সমস্ত চিকিৎসা কেন্দ্র, এমন-কি ওষুধের দোকান সংলগ্ন চিকিৎসক চেম্বার ও ডেন্টাল ক্লিনিকগুলোকেও অবিলম্বে নিবন্ধন করতে হবে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, অ্যালোপ্যাথি, ডেন্টাল ও আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, ইউনানি, সিদ্ধ, হোমিওপ্যাথি, যোগা, ন্যাচারোপ্যাথি, সোয়া-রিগপা)-এর প্রত্যেক শাখার চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানকে একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে।

ডা. রায় জানান, “এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য শাস্তি দেওয়া নয়, বরং স্বাস্থ্যসেবায় মান বজায় রাখা এবং রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আইন অনুযায়ী নিবন্ধন করলে প্রতিটি ইউনিটে পরিকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও মানবসম্পদের ন্যূনতম মান বজায় রাখা সম্ভব হবে।”

জেলা প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমা পেরোলেও যাঁরা নিবন্ধন করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে। কাছাড় জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য সমিতির পক্ষ থেকে সকল বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তারা যেন দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এড়িয়ে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে সহযোগিতা করে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande