
দার্জিলিং, ২৫ নভেম্বর (হি.স.): সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন আঞ্চলিক কার্যালয় (পশ্চিমবঙ্গ–উত্তর), শিলিগুড়ি, মঙ্গলবার দার্জিলিং-এর হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে চার দিনের একটি সমন্বিত যোগাযোগ ও প্রচার কর্মসূচির সূচনা করেছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করা এবং জাতীয় উন্নয়ন ও জনকল্যাণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে নাগরিকদের বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী ও যুবকদের যুক্ত করা।
হিমালয়ান মাউন্টারিং-এর অধ্যক্ষ কর্নেল রজনীশ জোশী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন, যিনি জাতীয় সচেতনতা প্রচারগুলির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবহিত থাকার জন্য অনুরোধ করেন, যাতে তারা ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হতে পারেন এবং অন্যদেরও সেগুলি পেতে সাহায্য করতে পারেন।
উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সিবিসির সহকারি নির্দেশক শ্রী এম.কে. হাইত, উন্নয়নমূলক উদ্যোগে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কার্যকর জন-সংযোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন।
আইকপ-এর উদ্দেশ্যগুলি নিয়ে একটি বিস্তারিত অধিবেশন পেশ করে পিআইবি ও সিবিসি, কলকাতার অতিরিক্ত মহানির্দেশক মিস জেন নামচু, সমাজের সর্বস্তরে সরকারি নীতি এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সিবিসির কার্যভার ব্যাখ্যা করেন। তিনি একটি আরও অবহিত সমাজ গড়ে তুলতে অংশগ্রহণকারীদের তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলি ছড়িয়ে দিতে উৎসাহিত করেন।
সিজিএসটির যুগ্ম কমিশনার শ্রী নির্মল জয় একটি তথ্যমূলক সেশন পেশ করেন, যেখানে তিনি ছাত্রছাত্রী, প্রশিক্ষণার্থী এবং স্থানীয় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জিএসটি ২.০-এর বৈশিষ্ট্যগুলি সরলভাবে ব্যাখ্যা করেন।
দিনের অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সিডিটিও, দার্জিলিং (শহরাঞ্চল)-এর শ্রী অজয় কুমার প্রসাদ; পিএলআই, দার্জিলিং পোস্ট অফিসের ডেভলপমেন্ট অফিসার শ্রী সুমিত কুমার শাহ এবং রামকৃষ্ণ বেসিক ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীমতী লোচন থাপা, যারা সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রচারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
উদ্বোধনী দিনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, একটি কুইজ প্রতিযোগিতা বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান ও সচেতনতা পরীক্ষা করে। এরপর এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত থিমের উপর সিবিসির সঙ্গীত ও নাট্য বিভাগ একটি উজ্জ্বল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়, যা ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যকে উদযাপন করে।
চার দিনের এই আইকপে বিভিন্ন সচেতনতামূলক অধিবেশন, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা এবং নাগরিক-অংশগ্রহণমূলক কার্যকলাপ চলতে থাকবে।
এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ