বিশ্রামগঞ্জে জনজাতি মহিলাদের হাতে রিয়া ও পাছরা বুননের সুতা বিতরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিশালগড় (ত্রিপুরা), ৫ নভেম্বর (হি.স.) : জনজাতি মহিলাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে—বুধবার সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জের শচীন দেববর্মণ স্মৃতি কলাক্ষেত্রে আয়োজিত সুতা প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ
সুতা বিতরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী


বিশালগড় (ত্রিপুরা), ৫ নভেম্বর (হি.স.) : জনজাতি মহিলাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে—বুধবার সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জের শচীন দেববর্মণ স্মৃতি কলাক্ষেত্রে আয়োজিত সুতা প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। জনজাতি মহিলাদের মধ্যে রিয়া ও পাছরা বুননের জন্য ২০ জন মহিলার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সুতা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ নীতিকে অনুসরণ করে রাজ্য সরকার জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার মহিলা স্বসহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে জনজাতি মহিলারাও রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, রাজ্যে জনজাতি ঐতিহ্যের মর্যাদা রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে—যেমন আগরতলা বিমানবন্দরের নামকরণ মহারাজা বীরবিক্রমের নামে, বড়মুড়া পাহাড়ের নাম হাতাইকতর, গণ্ডাছড়ার নাম গণ্ডাতুইসা এবং আঠারমুড়া পাহাড়ের নাম হাচুকবেরেম রাখা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে রাজ্যে একলব্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১টি। জনজাতি বিকাশ যোজনায় ৯,৩২৫ জনকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,০০০ টাকা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, জনজাতি জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নসহ সার্বিক বিকাশে সরকার কাজ করছে।

সভাপতিত্ব করেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক ড. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande