
ডিফু (অসম), ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : কারবি আংলং জেলা প্রশাসন বিদেশি ঘোষিত চার বাংলাদেশের নাগরিক যথাক্ৰমে মহম্মদ আবাস খান, মহম্মদ আমির উদ্দিন, মহম্মদ মইনুল হক এবং মহম্মদ আনোয়ার আলিকে অবিলম্বে অসম ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের অসম তথা ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। জনস্বার্থ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে এই নির্দেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
কারবি আংলঙের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিরলা ফাংচুপি ইমিগ্রান্টস (এক্সপালশন ফ্রম আসাম) আইন, ১৯৫০-এর ধারা ২ অনুযায়ী এই নির্দেশ জারি করেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধুবড়ি, শ্রীভূমি অথবা দক্ষিণ শালমারা–মানকাচরের সীমান্ত দিয়ে রাজ্য তথা দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে সরকার বলপূর্বক বহিষ্কার করতে বাধ্য হবে বলেও নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে।
এই চারজনকে গত আট বছরে পৃথক পৃথক মামলায় কারবি আংলং ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করেছে। খটখটি থানার অন্তর্গত দুডু কলোনির বাসিন্দা মহম্মদ আবাস খানকে ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর (ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১৫৬/২০১০) বিদেশি ঘোষণা করা হয়। একই থানার দুডু কলোনির মহম্মদ আমির উদ্দিনকে ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি (ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১২/২০১০) বিদেশি ঘোষণা করা হয়।
এভাবে হাওড়াঘাট থানার অন্তর্গত রংনগরের বাসিন্দা মহম্মদ মইনুল হককে ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর (ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১২৩/২০০৭) এবং খটখটি থানার পুরানা লাহরিজান এলাকার মহম্মদ আনোয়ার আলিকে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি (ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১০৮/২০০৯) বিদেশি ঘোষণা করা হয়।
কারবি আংলঙের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশকে বহিষ্কারজনিত আদেশ কার্যকর করে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিরোলা ফাংচুপি। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, রেশন কার্ড ও আধার নম্বর বাতিল করা এবং সব ধরনের সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প ও সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপটি অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে অসম সরকারের নতুন উদ্যোগের অংশ, যেখানে বিদেশি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের দ্রুত বহিষ্কারের জন্য ১৯৫০ সালের আইনকে রিভাইভ করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে অনুমোদিত স্যাভ ন্ডারডাইজড প্রসেসে শোণিতপুর সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে সম্প্রতি একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস