
অশোক সেনগুপ্ত
কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর (হি. স. ) : যুবভারতী-কান্ডে সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী শুভশ্রী ব্যাঙ্গের শিকার হওয়ায় তাঁর স্বামী, তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী থানায় ডায়েরি করেছেন। ভিডিয়ো বার্তায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সে সব ডিজিটাল সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে আসার পর সরব হরেছেন নেটনাগরিকরা। এরপর ভিডিয়ো বার্তায় সরব হয়েছেন শুভশ্রী। তাতেও প্রতিক্রিয়ায় ব্যাঙ্গের পাহাড়।
শুভশ্রী প্রশ্ন করেছেন, “বাংলা ছবিতে অভিনয় করি বলে আমায় আক্রমণ?” বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার প্রতিক্রিয়া ৯৫৩টি। তাতে প্রায় সকলেই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। সঙ্গে দুটো বিস্মিত মুখের ক্ষুদ্র প্রতীক (ইমোজি) গুঁজে মানসী গাঙ্গুলি লিখেছেন, “যা তো বাবা, ভাট বকিস না। আমাদেরও তো কাজ আছে!” বিশ্বজিৎ নায়েক লিখেছেন, “যেটা করেন সেটা কে কি অভিনয় বলে? নিছক মজা করলাম।” সঙ্গে দুটিটি ইমোজি।
প্রিয়া চক্রবর্তী লিখেছেন, “হ্যাঁ দিদি তুমি এগিয়ে যাও.. বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়িয়েছে মেসি..”। দীপন আচারী লিখেছেন, “সহানুভূতি নিয়ে এনাকে ভোট দিন, আগামী দিনের উন্নয়নের প্রার্থী”। সঙ্গে একটি ইমোজি। শাশ্বতী আর নামধারী একজন লিখেছেন, “খুব করে নিজেকে বোঝানো হোক, নিজের দোষ দেখো---Ma সারদা Devi ভালো কর্ম করুন সব বুঝতে পারবেন।”
একটি ইমোজি সহ কল্যাণ জোয়ারদার লিখেছেন, “২০২৬ এর ট্রেলার শুরু মনে হয়!” ছ’টি ইমোজি সহ পৌলমী ও আত্রিক লিখেছেন, “প্রতিবাদ করতে এসেছেন বলে তাই নো মেকাপ (NO MAKE UPLOOK)! সত্যিই এ বিষয়ে মহানায়িকা”। রূপজিৎ চক্রবর্তী লিখেছেন, “দিদি তুমি একদম ঠিক বলছো, সারা দুনিয়া তোমার বিপক্ষে গেলেও, আমিও সেই দুনিয়ার সাথেই আছি।”
তিনটি ইমোজি সহ শামিম আখতার লিখেছেন, “হুম আপনি বাংলার মহানায়িকা!” পাঁচটি ইমোজি সহ রাজু ভট্টাচার্য লিখেছেন, “নাটক বন্ধ করুন“! বশির আহমেদ মল্লিক লিখেছেন, “আর জি কর, সন্দেশ খালি, ল কলেজের ঘটনার সময় কোথায় ছিল এত প্রতিবাদী রূপ?” সানন্দা চক্রবর্তী লিখেছেন, “চুপ করুন তো... চুপ করুন... সব জায়গায় চলে আসবে সাফাই দিতে...বসুন বলছি...(দিদি স্টাইল)। সঙ্গে দুটি ইমোজি।”
নিশান চ্যাটার্জি লিখেছেন, “তমন্নাকে মনে আছে? আছে? আর জি করের মেয়েটিও কারো সন্তানই ছিলো। মনে আছে?” শাহেদ পাটোয়ারি লিখেছেন, “সুদূর আর্জেন্টিনা থেকে স্বয়ং মেসি তার সাথে দেখা করতে চলে আসে অথচ নিজ দেশের মানুষ তাকে মূল্য দিলনা।”
মিঠুন দত্ত লিখেছেন, “বাবা মা ভালো কাজ করলে তার ক্রেডিট যেমন তার বাচ্চারা নেয়, তেমনি খারাপ কাজ করলেও তার ক্রেডিটটা বাচ্চারা পাবে না?” সুদীপ কুমার সামন্ত লিখেছেন, “মানুষ আপনাকে অভিনেত্রী তৈরি করেছিল। আপনি নিজেকে রাজনৈতিক নেত্রী তৈরি করেছেন। সুতরাং সমালোচনা আপনাকে সহ্য করতেই হবে। অতো ম্যাও ম্যাও করলে হবেনা।”
অরিন্দম ভদ্র লিখেছেন, “সাফাই দেওয়ার সময় সব অভিনেত্রীর কস্টিউম চেঞ্জ হয়ে যায় কেন?” নীরা লিখেছেন, “আর জি করের সময় এই প্রতিবাদ কই ছিল দিদি?” শ্রীজনী মুখার্জি লিখেছেন, “আপনারা পলিটিশিয়ান নন, actress ও নন - আপনারা হলেন সুবিধার্থে চটি-চাটা।”
সৌরভ সরকার লিখেছেন, “Equally অন্যায়টা করে ফেলেছেন 'বললেন শেষে, সুতরাং আপনি নিজের অন্যায়টা admit করলেন। তাহলে তার আগে বলছেন, 'আমার অন্যায়টা কোথায়', আপনার বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। আরও ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে, সাজিয়ে গুছিয়ে প্রেস বাইট দেবেন। ব্যক্তিগতভাবে আপনার সন্তানদের নিয়ে বাজে কোনো কথা বা threat সমর্থন করি না। তবে, নিজেকে প্রশ্ন করুন দেখবেন ভুল খুঁজে পাবেন।”
ভাস্বতী মুখার্জি লিখেছেন, “বুঝলেন তো শুভশ্রী মা হবার মহিমা, আর জি কর সহ এই বাংলায় যারা খুন ধর্ষনের শিকার হয়েছেন, ধর্ষনের শিকার হয়েছেন তারাও মা এর সন্তান ....ভাবুন সেই মেয়েদের কথা আর আপনার বিধায়ক স্বামী কে বলুন হিম্মত থাকলে ওই মায়েদের ন্যায্য বিচার টা এনে দিন সত্যের পথে থেকে, একটু নির্লোভ হয়ে ফুটবলের সাথে আপনার কোন রকম attachment নেই, গেলেন কেন? কোনও ফুটবলপ্রেমী অভিনেতাকে পাঠাতে পারতেন .... না না ফোকোটে একটা গুরুত্ব পাওয়ার সুযোগকে হাতছাড়া করেন বলুন?”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত