
ওয়াশিংটন, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় আসা-যাওয়া করা ‘নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত তেলবাহী জাহাজ’ অবরোধের ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কারাকাসের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও বৃদ্ধি পেল। একইসঙ্গে দেশটির অপরিশোধিত তেলের বিষয়ে নতুন দাবি উত্থাপন করেছেন ট্রাম্প। ল্যাটিন আমেরিকায় মাদক পাচার রোধের নামে গত কয়েক মাস ধরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে বিশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই অভিযানের মূল লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলা।
যদিও কারাকাসের দাবি, বামপন্থী নেতা নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই এই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন-সহ অনেক দেশই মাদুরোকে অবৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচনা করে।
ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে মার্কিন যুদ্ধবিমানের মহড়া এবং মাদক পাচারকারী সন্দেহে বিভিন্ন নৌযানে প্রাণঘাতী হামলায় এখন পর্যন্ত ৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর কয়েক সপ্তাহ পর গত সপ্তাহে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি থেকে ছেড়ে আসা একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর আরও বেশ কিছু জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প লেখেন, ‘আজ আমি ভেনেজুয়েলায় আসা-যাওয়া করা সমস্ত নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত তেল ট্যাংকারের ওপর পূর্ণাঙ্গ ও সর্বাত্মক অবরোধের নির্দেশ দিচ্ছি।’
ট্রাম্পের ঘোষণার পর এশিয়ার বাজারে মার্কিন অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা বেড়ে যায়। জ্বালানি তেল বাজারের অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলার রফতানি হ্রাস পেতে পারে এমন সম্ভাবনার মুখে মূল্য বাড়তে শুরু করেছে। তবে ট্রাম্পের কথিত ‘অবরোধ’ কীভাবে বাস্তবায়িত হয় আর তা নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা জাহাজগুলোর ক্ষেত্রেও বিস্তৃত হয় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন তারা।
উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলার তেল ভাণ্ডার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ হলেও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উৎপাদন ক্ষমতার অনেকটাই ব্যবহার করতে পারছে না দেশটি। ভেনেজুয়েলার অধিকাংশ তেল বর্তমানে চিনে রফতানি হয়। মার্কিন সরকার ২০০৫ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। ওপেক-এর তথ্য অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলার তেলের মজুত প্রায় ৩০ হাজার ৩০০ কোটি ব্যারেল, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য