
নয়াদিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.): কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত আজ রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে জানান যে, কেন্দ্রীয় সরকার লোকশিল্পের বিভিন্ন ধারার সুরক্ষা, প্রসার ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে একটি স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে কলকাতায় ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার (ইজেডসিসি) প্রতিষ্ঠা করেছে। পটচিত্র-সহ বিভিন্ন লোকশিল্পের উন্নয়নে ইজেডসিসি নিয়মিত সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। এই সব অনুষ্ঠানে দেশজুড়ে বিভিন্ন লোকশিল্পী ও পটুয়া শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের সাম্মানিক, যাতায়াত ভাতা (টিএ/ডিএ), স্থানীয় পরিবহণ খরচ, থাকা ও খাওয়ার সুবিধা প্রদান করা হয়।
সংসদ সদস্য শমীক ভট্টাচার্যের, পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী পটচিত্র এবং এর গীতিনাট্যধর্মী উপস্থাপনা—বিশেষত, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পট শিল্পের প্রসার ও সংরক্ষণ এবং বিগত পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পটচিত্র শিল্পীদের জন্য দেওয়া আর্থিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও বিপণন সংক্রান্ত উদ্যোগ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পটচিত্র শিল্পের প্রচারে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এর ভূমিকা এবং মেলা, ই-বানিজ্য ও আন্তর্জাতিক মঞ্চের মাধ্যমে এই শিল্পকলার প্রচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান— সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ললিতকলা আকাদেমি (এলকেএ) পটচিত্র শিল্পীদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ, অভিমুখীকরণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সক্রিয় সহায়তা প্রদান করে আসছে, যাতে তাঁরা সমসাময়িক ধারা ও বাজারের চাহিদার সঙ্গে নিজেদের শিল্পচর্চাকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। পটচিত্র শিল্পীদের রাজ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের সুযোগও নিয়মিতভাবে করে দেওয়া হয়।
গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত আরও জানান যে, ললিতকলা আকাদেমির কলকাতার আঞ্চলিক কেন্দ্র একটি সপ্তাহব্যাপী শিল্পশিবিরের আয়োজন করেছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ থেকে সাতজন পটুয়া শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। একইভাবে, ললিতকলা আকাদেমির ভুবনেশ্বর আঞ্চলিক কেন্দ্রেও আয়োজিত শিল্পশিবিরে অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে পটচিত্র শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন যে, বিদেশ মন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) বিশ্বব্যাপী ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিভিন্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচারের লক্ষ্যে, ২০২৪-এর ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে ওড়িশা রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আইসিসিআর-এর সহায়তায় বিদেশে আয়োজিত প্রদর্শনীতে পটচিত্র শিল্পশৈলীর শিল্পকর্ম অন্তর্ভুক্ত ও প্রদর্শিত হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব, হস্তশিল্প মেলা, লোকশিল্প উৎসব এবং জোনাল কালচারাল সেন্টারগুলির আয়োজিত বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তরে পটচিত্র শিল্পীদের নিয়মিত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো|
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ