ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয়ের দাবিতে ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার স্মারকলিপি, ক্ষুব্ধ কৃষকরা
ঝাড়গ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : চলতি মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) ধান ক্রয় সুনিশ্চিত করার দাবিতে জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঝ
ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয়ের দাবিতে ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার স্মারকলিপি, ক্ষুব্ধ কৃষকরা


ঝাড়গ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : চলতি মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) ধান ক্রয় সুনিশ্চিত করার দাবিতে জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের জেলা শাসকের মাধ্যমে ওই আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।

সংগঠনের অভিযোগ, অনলাইনে ধান বিক্রির তারিখ নির্ধারণের পরেও কৃষকদের দীর্ঘসূত্রিতা ও হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর ফলে প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা বাধ্য হয়ে মধ্যস্বত্বভোগী ও ফড়েদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করছেন, যা কৃষকদের ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থী।

জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাত বলেন, “কৃষকের ন্যায্য অধিকার রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। রাজ্যের হস্তক্ষেপে ধান ক্রয় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরবে বলেই আমরা আশা করি।”

উল্লেখ্য, অনলাইনে তারিখ পাওয়া সত্ত্বেও ধান না কেনার প্রতিবাদে বুধবার গোপীবল্লভপুর–২ ব্লকের নোটা অঞ্চলের বলদি গ্রামে কৃষকেরা রাস্তার উপর ধানের বস্তা রেখে পথ অবরোধ করেন। অভিযোগ, চাষিরা বাধ্য হয়ে প্রতি কুইন্টাল ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় ধান বিক্রি করছেন, যা পরে ঘুরপথে সরকারি গুদামে যাচ্ছে।

চলতি আর্থিক বছরে সরকারি এমএসপি অনুযায়ী প্রতি কুইন্টাল ধানের দাম ২৩৬৯ টাকা, আর স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রে (সিপিসি) বিক্রি করলে মিলছে ২৩৮৯ টাকা। তবুও ফড়েদের দৌরাত্ম্য কমছে না বলে অভিযোগ।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande