আর জি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি পেলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার
কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর (হি. স. ) : আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আপাত স্বস্তি পেলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার বিচারপতি জয়
আর জি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি পেলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার


কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর (হি. স. ) : আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আপাত স্বস্তি পেলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার শুনানিতে সিবিআই জানায়, এই মুহূর্তে আখতার আলিকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই বক্তব্যেই সাময়িক স্বস্তি মিলল তাঁর। বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বস্তির আড়ালেই রয়ে গেল এক তীব্র রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিদ্রুপ। কারণ, আর জি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রথম আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন এই আখতার আলিই। সময়ের চক্রে সেই অভিযোগকারীর নামই জড়িয়ে গেল দুর্নীতির মামলার চার্জশিটে।

সম্প্রতি আর জি করের আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই চার্জশিটেই প্রথম বার যুক্ত হয়েছে আখতার আলির নাম। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত করা হয়েছে শশীকান্ত চন্দক নামের আরও এক ব্যক্তিকে। এর আগে এই মামলায় সন্দীপ ঘোষ, বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা, আফসার আলি খান ও আশিস পাণ্ডের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে গ্রেফতার করেছিল তদন্তকারী সংস্থা।

সূত্রের খবর, চার্জশিটে নাম থাকা সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই আইপিসির ৪৭১ ধারার সমগোত্রীয় ধারা যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। অভিযোগ, নথি জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আরজি করের আর্থিক অনিয়ম চলছিল।

চার্জশিটে আইপিসির ১২০বি, ৪২০, ৪০৯, ৪৬৭ ও ৪৬৮ ধারার নয়া আইনের সমগোত্রীয় ধারা, পাশাপাশি দুর্নীতি দমন আইনের ৭ ও ১৩ ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, প্রায় এক দশক ধরেই এই আর্থিক অনিয়মের শিকড় ছড়িয়ে ছিল।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande