গুয়াহাটিতে ‘শহিদ স্মারক ক্ষেত্র’-এ অসম আন্দোলনের ৮৬০ জন শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর
গুয়াহাটি, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.) : গুয়াহাটির বরাগাঁওয়ে নবনির্মিত ‘শহিদ স্মারক ক্ষেত্র’-এ অসম আন্দোলনের ৮৬০ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজ রবিবার সকালে শহিদ স্মারক ক্ষেত্রে গিয়ে অসম আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
৮৬০ শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর


শহিদ স্মারক ক্ষেত্রের স্মারক উপহার প্রদান


শহিদের স্মরণে তৈরি গ্যালারি পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর (চিত্র ১)


শহিদের স্মরণে তৈরি গ্যালারি পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর (চিত্র ২)


স্মারক স্তম্ভের নীচে প্রধানমন্ত্রী


গুয়াহাটি, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.) : গুয়াহাটির বরাগাঁওয়ে নবনির্মিত ‘শহিদ স্মারক ক্ষেত্র’-এ অসম আন্দোলনের ৮৬০ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজ রবিবার সকালে শহিদ স্মারক ক্ষেত্রে গিয়ে অসম আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক আন্দোলন অসমের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসরে গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

এই স্মারকে ছয় বছরব্যাপী বহিরাগত বিতারণ (অবৈধ বিদেশি-বিরোধী)-এর লক্ষ্যে সংগঠিত অসম আন্দোলনে (যা ১৯৮৫ সালে সমাপ্ত হয়) আত্মবলিদানকারী ৮৬০ জন শহিদের স্মরণ করা হয়েছে। তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এখানে একটি চিরন্তন প্রদীপ প্রজ্বলিত রয়েছে, যা ত্যাগ ও দৃঢ়তার প্রতীক।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী শহিদদের গ্যালারি পরিদর্শন করেন। গ্যালারিতে অসম আন্দোলনে নিহতদের আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আন্দোলনের প্রথম শহিদ হিসেবে স্বীকৃত খর্গেশ্বর তালুকদারের মূর্তিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। খর্গেশ্বর তালুকদার ১৯৭৯ সালের ১০ ডিসেম্বর শহিদ হয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্মারকটি স্মৃতিচারণার পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততার স্থান হিসেবেও নকশা করা হয়েছে। এই কমপ্লেক্সে জলাশয়, একটি অডিটোরিয়াম, প্রার্থনা কক্ষ, সাইকেল ট্র্যাক এবং সাউন্ড-অ্যান্ড-লাইট শোর সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে অসম আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ও রাজ্যের বিস্তৃত ইতিহাস তুলে ধরা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার অসম আন্দোলনের উত্তরাধিকার সংরক্ষণে তাঁদের গুরুত্বারোপের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে, যা আজও অসমের আধুনিক ইতিহাসের এক সংজ্ঞায়িত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা অগপ সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী সভাপতি যথাক্রমে অতুল বরা ও কেশব মহন্ত, মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারিদের সঙ্গে নিয়ে ‘শহিদ স্মারক ক্ষেত্র’-এর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande