
নয়াদিল্লি, ২৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : বাংলাদেশে সংখ্যালঘু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় এবার সরব হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার এক অডিও বার্তায় এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে তিনি জানান, ‘আমি বেঁচে থাকতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করবই।’ একইসঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান অরাজক পরিস্থিতির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরাসরি দায়ী করেছেন তিনি।
অডিও বার্তায় হাসিনা বলেন, ‘দীপু চন্দ্র দাস ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে এমন কোনও মন্তব্য করেছেন বলে কোনও প্রমাণ মেলেনি। যেভাবে পিটিয়ে এবং পুড়িয়ে এই যুবককে হত্যা করা হয়েছে, তার ধিক্কার জানাই। এরা কি সেইসব মানুষ যাদের জন্য আমি খাদ্য ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলাম? ওর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
পাশাপাশি ইউনুস সরকারের ব্যর্থতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যা চলছে তার জন্য দায়ী ইউনূস। দেশটাকে তিনি অরাজকতার পথে নিয়ে চলেছেন। এই অস্থিরতা কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং ভারতসহ গোটা দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়ার জন্যও বড় বিপদ। অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি সামলাতে অক্ষম এবং চরমপন্থীদের খোলা ছাড় দিয়ে দিয়েছে, যারা বর্তমানে বিদেশনীতি নির্ধারণ করছে। এছাড়াও ইউনূস প্রশাসনের লাগাতার ভারত-বিরোধী বয়ান উদ্বেগের কারণ।’
এদিকে, দীপু চন্দ্র দাস হত্যার প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবিতে ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লি ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। তাঁরা দাবি করেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে এই নারকীয় হত্যা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের জবাবদিহি করতে হবে। বিক্ষোভ চলাকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। বর্তমানে দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে
হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি