
উনা, ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.): ভিডিও কলের মাধ্যমে নিজেকে পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ ও গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর কাছ থেকে ৬.৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সাইবার প্রতারকরা মানসিক চাপে ফেলে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে অনলাইনে টাকা হাতিয়ে নেয়।
জানা গেছে, প্রতারিত ব্যক্তি পঞ্জাব সরকারের কর্মী ছিলেন। তিনি অবসর নিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার বর্তমানে অমৃতসরে থাকলেও তিনি উনা জেলার একটি গ্রামে বসবাস করছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ প্রতারকরা ফোন করে নিজেদের দিল্লি পুলিশের আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়। তারা জানায়, দিল্লির একটি ক্যানারা ব্যাঙ্ক শাখায় ৬.৫ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় ২৪৩ জনের নাম উঠে এসেছে, যার মধ্যে তাঁর নামও রয়েছে।
প্রতারকরা আরও দাবি করে, তাঁর নামে একটি ডুপ্লিকেট সিম ইস্যু করা হয়েছে, যা ডাকাতি-সহ একাধিক অপরাধে ব্যবহার হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে তদন্ত চলাকালীন নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অ্যাকাউন্টে ৬.৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং নির্দোষ প্রমাণিত হলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি, কাউকে কিছু জানালে পরিবারের ক্ষতির হুমকিও দেওয়া হয়।
বিষয়টাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ভিডিও কলে পুলিশের পোশাক পরা আধিকারিকদের ছবি, থানার দৃশ্য এবং স্টার চিহ্ন লাগানো অফিসারদের দেখানো হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ভয় পেয়ে তিনি হিমাচল থেকে অমৃতসর গিয়ে নিজের পাঁচ লক্ষ টাকার এফডি ভেঙে এবং বাকি টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে প্রতারকদের দেওয়া অ্যাকাউন্টে অনলাইনে ট্রান্সফার করেন।
এরপর প্রতারকরা আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করলে বিষয়টি সন্দেহজনক হয়ে ওঠে। একের পর এক ফোন কল আসতে থাকায় স্ত্রীর সন্দেহ হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এরপর পরিবারের তরফে সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এই ধরনের ফোন এলে আতঙ্কিত না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বা সাইবার ক্রাইম বিভাগে জানানো উচিত।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য