

- উদ্বোধন করবেন ইন্টেলিজেন্ট সিটি সার্ভিল্যান্স সিস্টেম, নগাঁও জেলায় বটদ্ৰবা প্ৰকল্প সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক প্রকল্প, গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনারের নবনিৰ্মিত দফতর প্ৰভৃতি
গুয়াহাটি, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : দুদিনের গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে আজ রবিবার অসম সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ রাতে বড়ঝাড়ে গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। বিমানবন্দরে অমিত শাহকে স্বগত জানাবেন মুখ্যমন্রীমন হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
কইনাধরায় রাজ্য অতিথশালায় নৈশযাপন করে আগামীকাল সোমবার দিনের শুরু করবেন গুয়াহাটির বরাগাঁওয়ে ঐতিহাসিক অসম আন্দোলনে ৮৬০ শহিদের প্রতি উৎসর্গীকৃত নবনির্মিত শহিদ স্মারক ক্ষেত্রে শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে।
আজ রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বার্তালাপে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মূল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে গুয়াহাটিতে ইন্টেলিজেন্ট সিটি সার্ভিল্যান্স সিস্টেম-এর উদ্বোধন। এখানে গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনারেটের নবনির্মিত অত্যাধুনিক দফতর এবং শহরের নিরাপত্তা পরিকাঠামো জোরদার করার লক্ষ্যে একটি ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইসিসিএস) উদ্বোধন করবেন। সিসিটিভি-ভিত্তিক এই নজরদারি ব্যবস্থা শহুরে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবে।
গুয়াহাটি থেকে হেলিকপ্টারে তিনি যাবেন অসমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থান নগাঁও জেলার অন্তৰ্গত বড়দুয়ায়। বড়দুয়ায় ঐতিহ্যমণ্ডিত আকাশীগঙ্গার তীরে নবনিৰ্মিত আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক বটদ্ৰবা প্ৰকল্পের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ।
প্ৰসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের জন্মস্থান বটদ্রবায় প্ৰায় ১,৩০০ বিঘা জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল রাজ্য সরকার। অবৈধ বেদখলকারীদের দখল থেকে উদ্ধারকৃত বিশাল পরিসরের জমিতে আকাশীগঙ্গার তীরে বটদ্রবা থানের পবিত্রতা ও মহিমা পুনরুদ্ধার করে অসমের ঐতিহ্য রক্ষাৰ্থে নির্মাণ করা হয়েছে আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক প্রকল্প। সাংস্কৃতিক প্রকল্পের উদ্বোধন করে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এছাড়া গুয়াহাটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন জ্যোতি-বিষ্ণু সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স। পাঁচ হাজার আসনবিশিষ্ট বিশাল এই অডিটোরিয়াম পূর্ব-ভারতের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক মিলনকেন্দ্র, জানান মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতে এটি বড় আকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করছেন ড. শর্মা।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস