
গুয়াহাটি, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : বিদায়ী ২০২৫ সালে উত্তরপূর্বীয় রাজ্যগুলিতে সংঘটিত কয়েকটি বড়সড় দুর্ঘটনার খবর তুলে ধরার চেষ্টা ...
২ জানুয়ারি ডিমাপুরের নাহরবাড়ি পেটলা কলোনিতে বিধ্বংসী আগুনে ভস্ম শতাধিক বসতবাড়ি।
৬ জানুয়ারি অসমের ডিমা হাসাও জেলার অন্তৰ্গত উমরাংসোতে প্রায় ৩০০ ফুট গভীর কয়লা খাদানে আবদ্ধ হয়ে ৯ শ্রমিকের মৃত্যু।
২৭ জানুয়ারি অরুণাচল প্রদেশের রোয়িং জেলার মায়োদিয়া এলাকার পাহাড়ি রাস্তা থেকে চলন্ত স্করপিও গভীর খাদে পড়ে অসমের গোলাঘাট জেলার অন্তর্গত নুমলিগড়ের ঔগুড়ি চাপরির বাসিন্দা চারজনের মৃত্যু। নিহতরা গাড়ির চালক মনোজ ছেত্রী, সুরজ ছেত্ৰী, রঞ্জিত ছেত্ৰী এবং মীনা ছেত্ৰী। আহত দুজন হরিমায়া ছেত্ৰী এবং নয় বছর বয়সি শিশু রেশ্মি ছেত্ৰী।
১১ মাৰ্চ মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় জওয়ানবাহী বিএসএফ-এর একটি গাড়ি গভীর খাদে পড়ে গেলে তিন জওয়ানের মৃত্যু। একই দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত আট জওয়ান।
২৭ মাৰ্চ গুয়াহাটির উপকণ্ঠ সোনাপুর থানাধীন যোগদল এলাকায় রাস্তার পাশে দণ্ডায়মান এএস ০১ পিসি ৫৬১৫ নম্বরের একটি ট্ৰাকের পেছন থেকে এএস ২১ এসি ৩৩০৯ নম্বরের পণ্যবাহী এক মিনি ট্রাক ধাক্কা মারলে চালক সহ তিনজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। নিহত সকলেই মিনি ট্রাকের আরোহী।
১২ এপ্রিল গুয়াহাটির উপকণ্ঠ চন্দ্ৰপুরের কলং নদীতে ভেসে গিয়ে সলিলসমাধি মা গোলাপী দেবী, তাঁর দুই কন্যা নীলাক্ষী কুমারী এবং আঙ্কিতা কুমারীর।
১৯ জুলাই অসমের হোজাই জেলার অন্তৰ্গত নীলবাগানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু। নিহতরা হোজাইয়ের লস্করপাথারের হরি চৌহান (৪৫), পশ্চিম কার্বি আংলং-এর বনবাজারের মাঝবস্তির মহেশ যাদব (৪৬), হোজাইয়ের নবী সিং (৪১) এবং ডিমা হাসাও জেলা সদর হাফলঙের রাহুল দিব্রাগাদে (৩৫)।
৩ আগস্ট (হি.স.) : মেঘালয়ের পূর্ব খাসিপাহাড় জেলার অন্তৰ্গত শিলং-ডাউকি রোডের রঙ্গাইনের কাছে যাত্রীবাহী চার চাকার একটি গাড়ি প্রায় ৭০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যাওয়ায় শিশু-মহিলা সহ তিনজনের মৃ্ত্যু এবং দুজন নিখোঁজ।
১৮ আগস্ট অসমের কামরূপ জেলার অন্তর্গত বকো থানাধীন বামুনিগাঁও স্টেশনের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় মৰ্মান্তিক মৃত্যু তিন মহিলা যথাক্রমে উত্তরা দাস (৫০), রুমি দাস (৩৫) এবং করবী মালি (৩৫)-র।
১ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমীর সকালে ডিব্ৰুগড় জেলান্তৰ্গত লেপেটকাটার চেচা মৈদামের কাছে চার লেনের সড়কে সংঘটিত দুৰ্ঘটনায় কালিপদ মুখাৰ্জি, দেবাঙ্গ বিশ্বাস কাশ্যপ এবং মিতা মুখাৰ্জি সহ তিনজনের মৃত্যু।
১ অক্টোবর অরুণাচল প্ৰদেশের তিরাপ জেলার অন্তর্গত খোনসা শহর সংলগ্ন লাপনান গ্রামে সংঘটিত ব্যাপক ভূমিধসে দুজনের মৃত্যু এবং তিনজন আহত।
২৮ অক্টোবর অসমের জাগিরোডের শিলচাঙে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় মরিগাঁও সিভিল হাসপাতালের স্ত্রী ও প্ৰসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. কণ্ঠেশ্বর বরদলৈ সহ তিনজন যথাক্ৰমে আশিক হুসেইন এবং মানস মহন্তের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু।
১ নভেম্বর অসমের পশ্চিম কারবি আংলং জেলার অন্তর্গত বৈঠালাংসোতে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিন মহিলা যাত্রী মানি আংসং, কুলবারি মালা এবং সিলুনি আংসঙের মৃত্যু।
২ নভেম্বর অসমের ডিব্রুগড় জেলার অন্তর্গত টিংখঙে মটরবাইক এবং স্কুটির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবক যথাক্রমে সরোজিনী বড়লাইনের বাসিন্দা পাপু তাঁতি এবং ২ নম্বর সাপকাইট গ্রামের ধন সোনারের মৃত্যু। আহত দুই।
১০ ডিসেম্বর গুয়াহাটির খারঘুলি এলাকার জয়পুরে ভরা ব্ৰহ্মপুত্ৰে নেমে নিখোঁজ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া সহ গুয়াহাটির পাঁচ যুবক।
১১ ডিসেম্বর অরুণাচল প্ৰদেশের আনজাও জেলার অন্তর্গত ভারত-চীন সীমান্তের কাছে হায়ুলিয়াং-চাগলাগাম সরু পাহাড়ি রাস্তা থেকে ২২ জন শ্ৰমিকবাহী ট্রাক প্রায় ১০ হাজার ফুট গভীর খাদে পড়ে অসমের ২১ জন শ্রমিকের মৃত্যু।
(আরও অন্য বিষয়ের খবর পরবর্তীতে)
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস