ড্রাগন ফল চাষে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হিমাচলের প্রেমচন্দ
মাণ্ডি, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : উদ্যান ও কৃষিকে উৎসাহিত করতে হিমাচল প্রদেশের রাজ্য সরকারের উদ্যোগ বাস্তবে ফল দিতে শুরু করেছে। হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলার সারকাঘাট মহকুমার থাউর গ্রামের বাসিন্দা প্রেমচন্দ প্রচলিত চাষ ছেড়ে ড্রাগন ফলের সফল চাষ করে এলাক
ড্রাগন ফল চাষে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হিমাচলের প্রেমচন্দ


মাণ্ডি, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : উদ্যান ও কৃষিকে উৎসাহিত করতে হিমাচল প্রদেশের রাজ্য সরকারের উদ্যোগ বাস্তবে ফল দিতে শুরু করেছে। হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলার সারকাঘাট মহকুমার থাউর গ্রামের বাসিন্দা প্রেমচন্দ প্রচলিত চাষ ছেড়ে ড্রাগন ফলের সফল চাষ করে এলাকার কৃষকদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

উদ্যান দফতরের কারিগরি সহায়তায় ২০২৪ সালে প্রেমচন্দ তাঁর ২.৫ বিঘা জমিতে জাম্বো রেড জাতের ড্রাগন ফলের ৮০০টি চারা রোপণ করেন। প্রথম মৌসুমেই ২০২৫ সালে প্রাথমিক ফসল থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় হয়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ কুইন্টাল ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন, যার বাজারদর ছিল কেজিপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

প্রাকৃতিক চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করে তিনি কোনও রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করেন না। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি তাঁর জমিতে সীতাফল ও পেঁপে চাষও করা হচ্ছে। এই উদ্যোগে তাঁর ছেলে অর্জুন শর্মাও সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।

রবিবার উদ্যান দফতর জানিয়েছে, সমন্বিত উদ্যান উন্নয়ন মিশন (এমআইডিএইচ)-এর আওতায় ২.৫ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষের জন্য প্রেমচন্দকে মোট ৬২ হাজার টাকা ভর্তুকি মঞ্জুর করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রথম কিস্তির ৩৮ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কৃষি সেচ যোজনার আওতায় ড্রিপ সেচ ব্যবস্থার সুবিধাও দেওয়া হয়েছে।

উদ্যান দফতরের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ড. অনিল ঠাকুর জানান, ড্রাগন ফল চাষে কম সময়ে ভালো ফলন ও উন্নত বাজারমূল্য পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকদের এই চাষে আগ্রহী করতে দফতর থেকে নিয়মিত কারিগরি সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য




 

 rajesh pande