হাতির আতঙ্কে গাছে রাত কাটাতে বাধ্য গ্রামবাসী, ছ’দিন ধরে অনুপপুরের ধাঙ্গাওয়ান বিটে তিন হাতির ডেরা
অনুপপুর, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.): মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলায় হাতির আতঙ্ক চরমে। ছত্তিশগড় সীমান্ত পেরিয়ে আসা তিনটি হাতির দল বিগত ছ’দিন ধরে জয়থারির বনাঞ্চলের ধাঙ্গাওয়ান ও চোলনা ফরেস্ট রেঞ্জের এলাকায় ডেরা বাঁধায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। দিনের বেলায় জঙ্
হাতির আতঙ্কে গাছে রাত কাটাতে বাধ্য গ্রামবাসী, ছ’দিন ধরে অনুপপুরের ধাঙ্গাওয়ান বিটে তিন হাতির ডেরা


অনুপপুর, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.): মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলায় হাতির আতঙ্ক চরমে। ছত্তিশগড় সীমান্ত পেরিয়ে আসা তিনটি হাতির দল বিগত ছ’দিন ধরে জয়থারির বনাঞ্চলের ধাঙ্গাওয়ান ও চোলনা ফরেস্ট রেঞ্জের এলাকায় ডেরা বাঁধায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। দিনের বেলায় জঙ্গলে অবস্থান করলেও রাত নামলেই জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে ঢুকে পড়ছে হাতির দল। ভাঙচুর করা হচ্ছে বাড়িঘর, নষ্ট হচ্ছে মাঠ ও খামারে রাখা ফসল। হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে জঙ্গল লাগোয়া জনজাতি পরিবারগুলিকে চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বহু পরিবার ঘরের জিনিসপত্র দড়ির সাহায্যে বড় গাছে ঝুলিয়ে রেখে, গাছে খাট বেঁধে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবারের মহিলা ও শিশুদের সন্ধ্যার পর নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

রবিবার বন দফতরের সংরক্ষক শশিধর আগরওয়াল জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর ছত্তিশগড় থেকে আসা তিন হাতির এই দল জয়থারির বনপরিসরের চোলনা ও ধাঙ্গাওয়ান ফরেস্ট রেঞ্জের এলাকায় অবস্থান করছে। ইতিমধ্যেই কুসুমহাই গ্রামের পালাডোল, ঝান্ডিটোলা, ভালুওয়ান্তোলা, বেলহাটোলা, কোশমাটোলা ও সারাইয়া টোলা এলাকায় অন্তত ছ’জন গ্রামবাসীর কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়াও একাধিক গ্রামের কৃষকদের খেত ও খামারে রাখা ফসল হাতির দল নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলায় বিগত কয়েক বছর ধরেই হাতির আনাগোনা বাড়ছে। বর্তমানে দুটি পৃথক বনদফতরের গস্তি দল গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় হাতির গতিবিধির উপর নজরদারি চালাচ্ছে।

বনদফতর আরও জানিয়েছে, মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর ও ভোরবেলায় বাড়ির বাইরে না বেরোতে অনুরোধ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য




 

 rajesh pande