ঝাড়্গ্রামে দলমার হাতির তাণ্ডব, বিঘার পর বিঘা শীতকালীন সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি
ঝাড়্গ্রাম, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : সারা রাত ধরে তাণ্ডব চালিয়ে ঝাড়্গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিঘার পর বিঘা শীতকালীন সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে দলমার হাতির দল। শনিবার রাতে বারডাঙ্গা বিট এলাকায় এই তাণ্ডব চালানো হয় বলে স্থানীয় কৃষকদের
ঝাড়্গ্রামে দলমার হাতির তাণ্ডব, বিঘার পর বিঘা শীতকালীন সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি


ঝাড়্গ্রাম, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : সারা রাত ধরে তাণ্ডব চালিয়ে ঝাড়্গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিঘার পর বিঘা শীতকালীন সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে দলমার হাতির দল। শনিবার রাতে বারডাঙ্গা বিট এলাকায় এই তাণ্ডব চালানো হয় বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে কুলাইকুন্ডা রেঞ্জের দিক থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৭টি হাতির একটি দল সাঁকরাইল ব্লকের বারডাঙ্গা বিট এলাকায় প্রবেশ করে। এর আগেও গত তিন-চার দিন ধরে কেন্দাডাংরি, দুধিয়ানালা ও টিয়াকাটি–চুনপাড়া এলাকায় তিনটি হাতির তাণ্ডবে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন করে বড় দল হাতি এলাকায় প্রবেশ করায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাতির তাণ্ডবের বিষয়ে বারবার বনদফতরকে জানানো হলেও কার্যকরভাবে হাতি তাড়ানোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ অপ্রতুল। অনেক সময় বনদফতরের কর্মীরা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।

যদিও বনদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাতির দলটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দিক থেকে এলাকায় প্রবেশ করেছে। বনকর্মীরা হাতিগুলিকে নয়াগ্রামের দিকে সরানোর চেষ্টা করছেন। তবে এলাকায় পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয় জলের প্রাচুর্য থাকায় হাতিগুলি আপাতত এলাকা ছাড়তে চাইছে না।

বনদফতর আরও জানিয়েছে, হাতিগুলিকে ড্রাইভ আউট করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর ও ভোরের সময় বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে বলেও বনদফতরের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande