কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন এই রাজ্যে। এত দীর্ঘ সময় ধরে এই রাজ্যে তাঁর থাকার কথা আগে শোনা যায়নি বলে মন্তব্য করেন সঙ্ঘের পূর্ব ক্ষেত্র সহ–প্রচার প্রমুখ ডঃ জিষ্ণু বসু। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সময়কালে আরএসএস প্রধানের উপর্যুপরি বৈঠক ও সমাবেশে অংশগ্রহণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বুধবার জিষ্ণুবাবু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের আঞ্চলিক সদর দফতর কেশব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ১২ পর্যন্ত থাকবেন সঙ্ঘের ‘দক্ষিণবঙ্গ প্রবাসে’। ৭-১০ ফেব্রুয়ারি সঙ্ঘের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করবেন। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় টোলির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেবেন। ১৩–য় মধ্যবঙ্গে যাবেন। ১৪–য় বর্ধমানে সঙ্ঘের নতুন ‘প্রান্ত’ কার্যালয় উদ্বোধন করবেন। ১৬ তারিখ রবিবার বর্ধমানে ‘সাই কমপ্লেক্স’–এ তাঁর সম্মেলন হবে সঙ্ঘের মধ্যবঙ্গ প্রান্ত কার্যকর্তাদের নিয়ে।
জিষ্ণুবাবু বলেন, সঙ্ঘের একটি প্রদেশে স্বয়ংসেবকদের সর্বজনীন সম্মেলন হয়। এ বছর হচ্ছে মধ্যবঙ্গে। গত বছর শহিদ মিনারে নেতাজি লহ প্রণাম কার্যক্রম হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, কাজের সুবিধার জন্য পশ্চিমবঙ্গে সঙ্ঘের তিনটি প্রান্ত করা হয়েছে। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা ও হাওড়া মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়ে দক্ষিণবঙ্গ। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলা নিয়ে মধ্যবঙ্গ। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি‘ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং নিয়ে উত্তরবঙ্গ।
আগামী বিধানসভা ভোটের আগে সঙ্ঘপ্রধানের এই সফর রাজনৈতিকভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এই প্রশ্নের উত্তরে জিষ্ণুবাবু বলেন, অনেক আগেই আমাদের এই সূচি নির্ধারিত হয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে সেভাবে সম্পর্ক নেই। তবে এক অর্থে তাঁর এই দীর্ঘ সফর অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্ঘের ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। দলের সমর্থক ও সংগঠন দুইই বেড়েছে, বাড়ছে। আগামী দিনে দলের কর্মসূচি কীরকম হবে, তার দিকনির্দেশনা তিনি দেবেন।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে জিষ্ণুবাবুর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায়।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত