সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া নিয়ে তোপ আরএসএস-এর
অশোক সেনগুপ্ত কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া নিয়ে তোপ দাগল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। বুধবার সঙ্ঘের পূর্ব ক্ষেত্র সহ–প্রচার প্রমুখ ডঃ জিষ্ণু বসু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এ ব্যাপারে যে প্রয়াস চলেছে তা বিশ
সরস্বতী পুজো


অশোক সেনগুপ্ত

কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া নিয়ে তোপ দাগল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। বুধবার সঙ্ঘের পূর্ব ক্ষেত্র সহ–প্রচার প্রমুখ ডঃ জিষ্ণু বসু সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এ ব্যাপারে যে প্রয়াস চলেছে তা বিশুদ্ধ জেহাদি চক্রান্ত”।

সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার যোগেশ চন্দ্র ল কলেজে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে। এরপর সেই ঘটনার জল গড়ায় হাই কোর্ট পর্যন্ত। শেষে পুলিশি নিরাপত্তায় সেই কলেজে সরস্বতী পুজো হয়। পুজোর দিনে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি সেখানে পৌঁছতেই উঠেছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। মন্ত্রীর সামনেই কলেজের এক ছাত্রী কেঁদে ফেলেছিলেন। অভিযুক্তের গ্রেফতারির পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্যের প্রবীন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অভিযোগ ওঠে, সাব্বির আলির বিরুদ্ধে কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা দেবাশিস কুমারকে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও পদক্ষেপ করেননি তিনি। মঙ্গলবার বিকাশ ভবন থেকে জারি এক নির্দেশিকায় দেবাশিস কুমারকে ওই পদ থেকে সরিয়ে বসানো হয় অরূপ বিশ্বাসকে। সূত্রের খবর, ওই কলেজের পুজো-কান্ড নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের পক্ষ থেকে বুধবার মানিকতলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের ব্যবস্থা হয়। সেখানে জিষ্ণু বসুকে প্রশ্ন করা হয়, কেবল ওই কলেজ নয়। আরও বেশ কিছু জায়গায় সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার প্রকাশ্য অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আরএসএস-এর ভাবনা কীরকম? তিনি বলেন, “সরস্বতী পুজো বহু বছর ধরে বাংলার মানুষের মননের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যাদেবীর আরাধনা হওয়া উচিত।”

এই প্রতিবেদক প্রশ্ন তোলেন, “এ ব্যাপারে বাধাদানকারীরা রাজ্যের শাসক দলের আশ্রিত বলে অভিযোগ উঠছে। আপনারা কী মনে করছেন? জিষ্ণুবাবু বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল আমাদের শত্রু নয়। কাদের ইন্ধনে হচ্ছে, সেই প্রকৃত সত্যটা তো আপনারা, সাংবাদিকরা তুলে ধরবেন! পুজোয় বাধাদানকারী বা তাঁদের সমর্থক কারা, তাঁদের পরিচয় তো আপনারাই জানবেন। সংগাঠনিক পরিচয় না জানতে পারলে সেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ!”

সরস্বতী পুজো বন্ধ করতে হুমকি নিয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিকভাবে নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে অভিযোগ উঠে এসেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, পুজো করলে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ১ দিনের মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কয়েকদিন ধরে নবদ্বীপের বিভিন্ন স্কুলের সামনে সরস্বতী পুজো বন্ধের দাবিতে হুমকি পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহা বিদ্যালয়ে।

এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের ভূমিকা কী হওয়া উচিত? এই প্রশ্নের জবাবে জিষ্ণুবাবু বলেন, “যাতে বাংলার সংস্কৃতি ঠিক থাকে, তা সরকারের দেখা উচিত। আশা করব, এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবে।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande