কোকরাঝাড় (অসম), ১৬ মাৰ্চ (হি.স.) : বিটিআর (বডোল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন)-এর ৩৫টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মডেল হাইস্কুলে উন্নীত করা হবে, ওদালগুড়িতে হবে মেডিক্যাল কলেজ ও বড়োল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সহ গুচ্ছ প্ৰকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
আজ রবিবার কোকরাঝাড় জেলা সদর সংলগ্ন দোতমায় বডোফা ময়দানে অনুষ্ঠিত ‘অল বডো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (এবিএসইউ বা এবসু)-এর ৫৭-তম ত্রিদিবসীয় বার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিনের হাজারো জনতার সমাবেশে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে ভাষণ দিতে গিয়ে এ সব ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বড়োল্যান্ডের অগ্রগতির প্রতি রাজ্যের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বড়ো জনগোষ্ঠী সবসময় অসমের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বড়োল্যান্ডে শিক্ষা ও উন্নয়ন জোরদার করতে বডোফা উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মের দর্শনকে পাথেয় করে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। তাঁর দর্শনকে অবলম্বন করে সরকার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা বয়ে আনবে এমন নীতি বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করছে, যার মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, কোকরাঝাড়-গেলফু-গুয়াহাটি রেল লাইন, কোকরাঝাড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা, ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি।’
হিমন্তবিশ্ব বলেন, ‘একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠনে এবসু-র অবদান প্রশংসনীয়। আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একসাথে কাজ চালিয়ে যাব। এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ওদালগুড়িতে একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হবে। বড়োল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজও চলছে। আমি বড়োল্যান্ডের ৩৫টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মডেল হাইস্কুলে উন্নীত করার ঘোষণা করছি।’
ড. শর্মা বলেন, ‘বডোফার জন্মবার্ষিকী যথাযথ শ্রদ্ধার সাথে পালিত হচ্ছে। আমরা বডোফার সমাধিস্থানকে উন্নীত করে আগামী ১ মে রাজ্যব্যাপী বডোফাকে স্মরণ করে তাঁকে সম্মান জানাব।’
‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে আমরা বিটিআর অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের জন্য নিবেদিতপ্রাণ,’ বলেন মুখ্যমন্ত্ৰী। এছাড়া বড়ো চুক্তির সকল দিককে সম্মান করা এবং এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ট্রিপল ইঞ্জিন সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্ৰসঙ্গত গত ১৩ মার্চ শুরু হয়েছিল এবসু-র ৫৭-তম বারষিক সম্মেলন। সম্মেলনে বিশিষ্ট নেতা, নীতিনির্ধারক এবং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁরা শিক্ষা, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস