দুটি ট্রেনের নামকরণ বৈষ্ণবসন্ত শংকরদেব এবং মাধবদেবের নামে চালুর দাবি অসমের সাংসদ দিলীপ শইকিয়ার
নয়াদিল্লি, ১৭ মাৰ্চ (হি.স.) : দুটি ট্রেনের নামকরণ বৈষ্ণবসন্ত শংকরদেব এবং মাধবদেবের নামে চালু করার দাবি করেছেন অসমের সাংসদ তথা অসম প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ শইকিয়া। আজ সোমবার বিজেপি নেতা তথা অসমের মঙ্গলদৈ (অধুনা ডিলিমিটেশনের পর নতুন ক্ষেত্র দরং-ওদাল
সংসদে মঙ্গলদৈ-এর সাংসদ দিলীপ শইকিয়া


নয়াদিল্লি, ১৭ মাৰ্চ (হি.স.) : দুটি ট্রেনের নামকরণ বৈষ্ণবসন্ত শংকরদেব এবং মাধবদেবের নামে চালু করার দাবি করেছেন অসমের সাংসদ তথা অসম প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ শইকিয়া।

আজ সোমবার বিজেপি নেতা তথা অসমের মঙ্গলদৈ (অধুনা ডিলিমিটেশনের পর নতুন ক্ষেত্র দরং-ওদালগুড়ি)-এর সাংসদ দিলীপ শইকিয়া রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে অসম থেকে দিল্লি এবং চেন্নাই পর্যন্ত দুটি দূরপাল্লার ট্রেনের নামকরণ যথাক্রমে শ্রদ্ধেয় বৈষ্ণবসন্ত শ্রীমন্ত শংকরদেব এবং শ্রীমন্ত মাধবদেবের সম্মানে চালু করার দাবি জানিয়েছেন।

২০২৫-২৬ সালে রেল মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন অনুদানের দাবির ওপর বিতর্কে অংশগ্ৰহণ করে সাংসদ দিলীপ শইকিয়া ডিব্রুগড় এবং গুয়াহাটির মধ্যে রঙিয়া ও ওদালগুড়ি হয়ে একটি বন্দেভারত এক্সপ্রেস শুরু করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া অসমে বসবাসকারী ওড়িশা-বংশোদ্ভূত ৪৫ লক্ষ মানুষের সুবিধার্থে গুয়াহাটি থেকে ওড়িশায় সরাসরি একটি ট্রেন চালানোরও দাবি জানিয়েছেন সাংসদ শইকিয়া।

সংসদে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং সংসদে রেলমন্ত্রীর কাছে দুটি দূরপাল্লার ট্রেনের নামাকরণ বৈষ্ণবসন্ত শ্রীমন্ত শংকরদেব এবং শ্রীমন্ত মাধবদেবের সম্মানে চালু করার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোনও ইতিবাচক সাড়া পাইনি। আমার এই দাবির বর্তমান অবস্থা কী সে সম্পর্কে আমাকে জানান।’

কোভিড অতিমারীর সময় বন্ধ করে দেওয়া খইরাবাড়ি, ডেকারগাঁও, গোরেশ্বর, মাজবাট, টংলা এবং ওদালগুড়ির মতো স্টেশনগুলিতে বেশ কয়েকটি ট্রেনের থামার ব্যবস্থা করতেও রেলওয়ে মন্ত্রককে অনুরোধ করেছেন সাংসদ শইকিয়া।

বিজেপি সাংসদ বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে ভারতীয় রেলের জন্য ২,৬৫,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই বরাদ্দ ইউপিএ শাসনামলে বরাদ্দকৃত ৪৫,৯০০ কোটি টাকার চেয়ে ছয় গুণ বেশি।

তিনি বলেন, গত দশকে মোট ৩১,১৮০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে এবং ৪,৮৭৬ কিলোমিটার ট্র্যাক জুড়ে কাবচ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সাংসদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রেলওয়ে ২১,০০০ কিলোমিটার রেলপথ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। অথচ গত ১০ বছরে ৬০ হাজার কিলোমিটারের বেশি রেলপথ বিদ্যুতায়িত হয়েছে এবং রেলওয়ে শীঘ্রই তার ১০০ শতাংশ লক্ষ্য অর্জন করবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande