আগরতলা, ১ এপ্রিল (হি.স.) : ঋতুচক্রের নিয়ম মেনে এখন বছরের শেষ ঋতু বসন্তের শেষ দিক। আর কিছুদিন পর আসবে নতুন বাংলা বছর। বৈশাখ মাস দিয়ে শুরু হয় নতুন বছর, সেই সঙ্গে আসে নতুন ঋতু। বছরের শেষে পুরাতনকে বিদায় করে নতুনকে বরণ করার জন্য মানুষের মধ্যে একটি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। বছরের শেষ লগ্নে তাই ব্যবসায়ীরাও দোকানের পুরাতন সামগ্রী তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করে দোকান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নতুন বছরের নতুন সামগ্রী তুলে।
যুগ যুগ ধরে এই রীতি চলে আসছে। তাই এখন বহু মানুষ বছরের শেষ লগ্নে সস্তায় সামগ্রী কেনার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করেন, ঠিক একই ভাবে ব্যবসায়ীরাও বছরের শেষে বেশি করে বিক্রি করার জন্য কোন কসরত ছাড়েন না। বছরের শেষের এই বিক্রি চৈত্র সেল নামে পরিচিত।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও রাজধানী আগরতলাতে চৈত্র সেলের হাট বসবে। ইতিমধ্যে আগরতলা পুর নিগমের তরফে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শকুন্তলা রোডসহ আশেপাশে এলাকায় রাস্তায় বসে বিক্রি করার জন্য জায়গা বরাদ্দ করে দিয়েছে। ধীরে ধীরে রাজধানীর শকুন্তলা রোড এলাকায় এই চৈত্র হাটে ব্যবসায়ীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। জামা কাপড় থেকে শুরু করে গৃহস্থলি সামগ্রী বাসনপত্র, গৃহসজ্জা সামগ্রী এমনকি ঘর মোছার ফিনাইল, বাথরুম ক্লিনার, টুথপেস্ট, সাবান এসব খুঁটিনাটি জিনিসও থাকে বছর শেষের এই হাটে।
হাটে জামা কাপড় নিয়ে আসা এক মহিলা ব্যবসায়ী জানান, তিনি বাড়িতে বসে ব্যবসা করেন। শুধুমাত্র বছরের এই সময় দোকান নিয়ে আসেন। হাটের বিক্রি নিয়ে তার অভিমত, সবে শুরু হয়েছে তাই এখনো বিক্রি শুরু হয়নি তেমন ভাবে। তবে বিগত বছরগুলিতে মেলার শেষ দিনগুলিতে বিক্রি-বাট্টা ভালো হয়েছিল। এ বছরও তাই হবে বলে আশা করছেন তারা। পুর নিগম থেকে তাঁদেরকে বিনামূল্যে এখানে ব্যবসা করতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় খুশি বলেও জানান তিনি।
শুধুমাত্র রাজধানী আগরতলার ব্যবসায়ীরাই নন, আগরতলার বাইরের বেশ কিছু জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এই হাটে আসেন ব্যবসা করার জন্য। এখানে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও আসেন। ব্যবসায়ীরা জানান, এখনো সেই ভাবে বিক্রি বাট্টা শুরু হয়নি, তবে অন্যান্য বছর যেমন বিক্রি হয়েছিল একইভাবে বিক্রি হবে বলে আশা তাদের। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না দেখা দেয় তাহলে ব্যবসায়ীরা নিরাশ হবেন না বলে অভিমত তাদের।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ