গুয়াহাটি, ১৫ এপ্রিল (হি.স.) : অসমের ভাষাগত পরিচয়কে শক্তিশালী করা এবং রাজ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে সমন্বিত করার লক্ষ্যে ঐতিহাসিক ভাষাগত মাইলফলক চিহ্নিত করে অসম সরকার ঘোষণা করেছে, আজ পয়লা বৈশাখ (১৫ এপ্রিল, ২০২৫) থেকে রাজ্য জুড়ে সমস্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি, আদেশ, নিয়ম এবং যোগাযোগের জন্য অসমিয়া ভাষাকে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি ভাষা হিসেবে বলবৎ হবে। তবে বরাক উপত্যকায় বাংলা এবং ‘বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন’ (বিটিআর)-এ ব্যবহার করা হবে বড়ো ভাষা।
১৯৬০ সালের অসম সরকারি ভাষা আইনের অধীনে রাজনৈতিক (খ) বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আইন, নিয়মাবলি সহ সকল সরকারি যোগাযোগ, বদলির আদেশ এবং প্রকল্প নির্দেশিকা ইংরেজি এবং অসমিয়া উভয় ভাষায় জারি করতে হবে। তবে, আঞ্চলিক ভাষাগত সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, সরকার কিছু ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলি বরাক উপত্যকার তিন জেলায় ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষা এবং ‘বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন’-এ ইংরেজির পাশাপাশি বড়ো ভাষা ব্যবহার করা হবে।
অধিকন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞপ্তিগুলি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে অসমিয়া, বড়ো বা বাংলায় (যেখানে প্রযোজ্য) অনুবাদ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের সহায়তায় বিদ্যমান আইন ও বিধির মতো উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত নথিগুলি আগামী দু-বছরে পর্যায়ক্রমে অনুবাদ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। সরকার প্রাথমিক অনুবাদের জন্য ‘অনুবাদ ভাষিণী অ্যাপ’ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে, যদিও কর্মকর্তাদের ম্যানুয়াল পর্যালোচনার মাধ্যমে নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে হবে।
রাজ্যের জারিকৃত নির্দেশিকাটি স্পষ্ট করেছে, আন্তঃরাজ্য এবং কেন্দ্রীয় যোগাযোগ, আইনি নথি, আদালতের কার্যক্রম এবং সরকারি ব্যাখ্যার জন্য ইংরেজি ভাষা অব্যাহত থাকবে। আইনি কোনও অস্পষ্টতা বা বিরোধের ক্ষেত্রে ইংরেজি সংস্করণটি প্রামাণিক হিসেবে থাকবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস