গুয়াহাটি, ১৬ এপ্রিল (হি.স.) : কে রবীনকুমার রেড্ডি, অতিরিক্ত সদস্য (ট্রাফিক), রেলওয়ে বোর্ড, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পরিদর্শন করেন এবং রেলওয়ের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সঙ্গে ব্যাপক পর্যালোচনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। পর্যালোচনা বৈঠকে অপারেটিংসূচক, জোনের সাফল্য এবং অর্থবর্ষ ২০২৫-২৬-এর কৌশলগত বিষয়গুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেন রবীনকুমার রেড্ডি।
আজ বুধবার এক প্রেস বার্তায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এ খবর দিয়ে জানান, পর্যালোচনা বৈঠকে পণ্যসামগ্রী লোডিং, সময়ানুবর্তিতা, সুরক্ষা এবং রাজস্ব অর্জনের মতো মূল কর্ম প্রদর্শন প্যারামিটারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রদর্শিত ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রশংসা করেন রেড্ডি। বিশেষ করে মালবাহী সেকটরে এবং লজিস্টিক সেক্টরের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে উদ্ভাবনী পন্থা এবং পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকে ধ্যান দিতে রেলওয়ে টিমকে আহ্বান জানান তিনি। মালবাহী প্রদর্শনের পর্যালোচনায় রেড্ডি মার্চ ২০২৫-এ পণ্য যাতায়াতে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি উল্লেখ করেন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে একাধিক শ্রেণিতে উল্লেখনীয় বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে, যেমন সিমেন্ট লোডিঙে ৯.৬ শতাংশ, ডলোমাইটে ৯.১ শতাংশ, সার লোডিঙে ২৮.৬ শতাংশ এবং অন্যান্য শ্রেণিতে ৯.৬ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। অতিরিক্তভাবে নির্দিষ্ট সেক্টরে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আলু লোডিঙে ৫৪.৫ শতাংশ, স্টোন চিপসে ৬১.৯ শতাংশ এবং বিভিন্ন পণ্যে ৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অর্থবর্ষ ২০২৪-২৫-এর জন্য ১০.৬৮১ মিলিয়ন টন মাললোডিঙের সাফল্য অর্জন করেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রভাবশালী এই বৃদ্ধি আঞ্চলিক অর্থনীতি এবং ভারতীয় রেলের সামগ্রিক রাজস্ব উভয়ই বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তাঁর সফরের অংশ হিসেবে রেড্ডি আজারা রেলওয়ে স্টেশনের গুডসশেডও পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মালবাহী অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের মালবাহী পরিকাঠামো বাড়ানো এবং বাধাহীন, দক্ষ পরিষেবা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দৃঢ়প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আশ্বস্ত করেন।
ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে লাভালাভ এবং অপারেশনাল প্রক্রিয়াগুলিকে উন্নত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে, যাতে পণ্য পরিবহনে বহনক্ষম অগ্রগতি নিশ্চিত হয়, পরিষেবার নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করতে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অবদান অব্যাহত রাখতে পারে, প্রেস বার্তায় বলেছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস