কলকাতা, ১৯ এপ্রিল (হি.স.): দিলীপ ঘোষের বিয়েতে শুক্রবার দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শনিবার অবশেষে দিলীপবাবুর বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দুবাবু। কিন্তু শুভেন্দুবাবুর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
কিছুদিন আগেও বিধানসভায় গিয়ে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন দিলীপ। দুজনে এক ফ্রেমে ধরা পড়েন। কিন্তু তাঁর বিয়েতে এমন ফ্রেম তৈরি হয়নি। শনিবার এই বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে বিরোধী নেতা শুধু বলেন, ''এটা ওঁর (দিলীপ ঘোষ) ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিছু বলতে চাই না। পার্টির তরফে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে, আমিও তো পার্টিরই একজন।'' এইটুকু বলেই মুর্শিদাবাদ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দুবাবু। দিলীপ ঘোষ বা তাঁর বিয়ে নিয়ে আর কোনও কথা বলেননি তিনি। এতে অনেকের মনে প্রশ্ন ওঠে।
দিলীপবাবুর বিয়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দলীয় নেতাদের অনেকে মুখ বন্ধ করে ছিলেন। শুক্রবার সকালে বিনা নেমন্তন্নে
দিলীপবাবুর বাড়িতে চলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। কিন্তু শুভেন্দুবাবু যাননি।
এর পর ওই বিয়ে নিয়ে হইহই পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। এক সাংবাদিক বিভিন্ন দৈনিকে দিলীপবাবুর বিয়ের খবর ও ছবি কতটা মাত্রা পেয়েছে, তার ওপর একটি সমীক্ষার নির্যাস অনেকের সঙ্গে শুভেন্দুবাবুকেও শনিবার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। তৎক্ষণাৎ তিনি পাল্টা জবাব দেন, Not interested, interested in Murshidabad violence news।
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও অবিবাহিত। ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনিও আজীবন ব্রহ্মচারী থাকারই পণ করে রেখেছেন। তমলুক লোকসভা আসন থেকে জিতে তিনি যখন প্রথমবার সাংসদ হন, তখন একবার বাবা শিশির অধিকারী মেজ ছেলের বিয়ের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। ছেলেকে বিয়ের কথা বলার সাহস পরিবারের কারওর ছিল না। মা-ও বলে বলে হয়রান। বিয়ের কথা কেউ বললেই রে রে করে ওঠেন মেজ অধিকারী। তার পর থেকে পরিবারের লোকজন তাঁকে বিয়ের কথা বলা ছেড়ে দিয়েছেন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত