হাফলং (অসম), ২৩ এপ্রিল (হি.স.) : উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ (এনসিএইচএসি)-এর মুখ্য কার্যনিৰ্বাহী সদস্য (সিইএম) দেবোলাল গার্লোসা হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁরই পারিষদ দেবজিৎ বাটারিকে সরকারি আবাসন খালি করার হুমকি প্রদান করেছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে এক পত্র প্রেরণ করেছেন।
উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য দেবজিৎ বাটারি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাঠানো অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, গত ২০ এপ্রিল পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা সঙ্গে নিজের পিএসও, কার্যনির্বাহী সদস্য ধনপাইনন থাওসেন ও পরিষদ সদস্য প্রজিত হোজাইকে সঙ্গে নিয়ে দেবজিৎ বাটারির সরকারি আবাসনে উপস্থিত হয়ে রাত নয়টার মধ্যে তার সরকারি আবাসন খালি করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, রাত নয়টার মধ্যে যদি সরকারি আবাসন তিনি খালি না করেন তা-হলে তাঁকে গুলি করার হুমকি প্রদান করেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, দেবোলাল গার্লোসা এভাবে তাকে হুমকি প্রদান করায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তাই সিইএম দেবোলাল গার্লোসার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে আহ্বান জানান তিনি। এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক সমরজিৎ হাফলংবার এবং আম আদমি পার্টির ডিমা হাসাও জেলা কমিটির সভাপতি বাপুজিৎ লাংথাসা বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি তথা পার্বত্য পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য যদি সুরক্ষিত না থাকেন, তা-হলে সাধারণ মানুষ কী ভাবে সুরক্ষিত থাকবেন এমন প্রশ্ন উত্থাপন করে এ নিয়ে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে বুধবার এক প্রেস বিবৃতি যোগে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য ধনপাইনন থাওসেন জানিয়েছেন, পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসার বিরুদ্ধে দেবজিৎ বাটারি যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রেস বিবৃতিতে ধনপাইনন থাওসেন জানিয়েছেন, গত ২৮ মার্চ পার্বত্য পরিষদ কর্তৃপক্ষ দেবজিৎ বাটারিকে সরকারি আবাসন খালি করার জন্য এক পত্র প্রেরণ করে। কারণ, যেহেতু হাফলঙে দেবজিৎ বাটারির বাড়ি রয়েছে এই অবস্থায় পরিষদের বিজেপি সদস্য তথা জেলা উন্নয়ন পরিকল্পনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ধৃতি থাওসেনের হাফলঙে কোনও থাকার ঘর না থাকায় এই সরকারি আবাসনে তাঁকে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, যেহেতু দেবজিৎ বাটারির হাফলঙে থাকার জন্য নিজের ঘর রয়েছে, তাই সরকারি আবাসনে তিনি থাকতেন না। এবং এই সরকারি আবাসনে ১৫ থেকে ২০ জন যুবককে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। যুবকরা এই সরকারি আবাসনকে ক্লাব ও বার হিসেবে ব্যবহার করছিল। তাছাড়া সরকারি নির্দেশকে অন্য মোড় দিতে দেবজিৎ বাটারি সিইএম দেবোলাল গার্লোসার বিরুদ্ধে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বলে প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ধনপাইনন থাওসেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব