দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য, চিকিৎসায় গাফিলাতির অভিযোগে বিক্ষোভ
দুর্গাপুর , ২৪ এপ্রিল (হি.স.) : রাতে সন্তানের জন্ম দেন, সকাল হতেই মৃত্যু। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। চিকিৎসায় গাফিলতি এবং ভুল ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবার। পরিস্থিত
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য, চিকিৎসায় গাফিলাতির অভিযোগে বিক্ষোভ


দুর্গাপুর , ২৪ এপ্রিল (হি.স.) : রাতে সন্তানের জন্ম দেন, সকাল হতেই মৃত্যু। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। চিকিৎসায় গাফিলতি এবং ভুল ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় নিউ টাউনশিপ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম লক্ষ্মী মুর্মু (২২)। তিনি কাঁকসার বিদবিহারের সন্ধিপুর এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, ২২ এপ্রিল প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে লক্ষ্মীকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। বুধবার তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। রাতেই ফের পেটের যন্ত্রণা শুরু হলে লক্ষ্মীকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপরই তাঁর শরীরে কাঁপুনি শুরু হয় এবং অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত নার্সদের একাধিকবার ডাকলেও তারা সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে লক্ষ্মীকে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতার বাবা রূপচাঁদ হেমব্রম বলেন, রাতে ইনজেকশন দেওয়ার পরেই আমার মেয়ের শরীর কাঁপতে থাকে। তারপরেই মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবরও আমাদের জানানো হয়নি। সকালে এসে জানতে পারি। আমরা সুবিচার চাইছি।

ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় হাসপাতালে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “লক্ষ্মীর মতো আরও কয়েকজন প্রসূতিকে একই ইনজেকশন দেওয়ার পর সমস্যা দেখা দেয়। এরপরই লক্ষ্মীর মৃত্যু হয়। আমরা সুপার ও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। দ্রুত তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ প্রকাশ না করলে আইনি পথে হাঁটব। হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মন্ডল বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande