এনএফ রেলের সমস্ত ডিভিশনে চলছে প্যাসেঞ্জার রানিং লাইন আপগ্রেডেশনের কাজ
গুয়াহাটি, ২৫ এপ্রিল (হি.স.) : রেলওয়ের সুরক্ষা এবং অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার পাঁচটি ডিভিশন যথাক্রমে কাটিহার, আলিপুরদুয়ার, রঙিয়া, লামডিং এবং তিনসুকিয়ায় প্যাসেঞ্জার রানিং লাইনগুলিকে
এনএফ রেলের সমস্ত ডিভিশনে চলছে প্যাসেঞ্জার রানিং লাইন আপগ্রেডেশনের কাজ


গুয়াহাটি, ২৫ এপ্রিল (হি.স.) : রেলওয়ের সুরক্ষা এবং অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার পাঁচটি ডিভিশন যথাক্রমে কাটিহার, আলিপুরদুয়ার, রঙিয়া, লামডিং এবং তিনসুকিয়ায় প্যাসেঞ্জার রানিং লাইনগুলিকে আপগ্রেড করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আজ শুক্রবার এক প্রেস বার্তায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এ সম্পর্কে জানান, মিশন-মোড এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ট্রেনের নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য যাতায়াতকে সহায়তা করার জন্য লুপলাইনগুলিকে মূল লাইনের মানের সমতুল্যে নিয়ে আসা। লুপলাইনে ক্রমবর্ধমান যাতায়াত এবং পুরনো ট্র্যাক পরিকাঠামোর সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য সুরক্ষা সম্বন্ধীয় ঝুঁকির জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবং আধুনিক ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের পদ্ধতি গ্রহণ করার মাধ্যমে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অপ্রত্যাশিত বিপদ হ্রাস করতে এবং সামগ্রিক পরিচালনের পরিবেশ উন্নত করতে কাজ করছে।

২০২৪-২৫ সালে এই পদক্ষেপের অধীনে রেকর্ড-ব্রেকিং সাফল্য অর্জন দেখা গেছে। উন্নয়নের আওতায় রয়েছে ব্যালাস্ট শক্তিশালীকরণ, ট্র্যাক জ্যামিতি উন্নত করা, নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা এবং নিয়মিত ব্যবধানে ট্র্যাকের মাপদণ্ড মূল্যায়ন করার জন্য অ্যাডভান্স প্রোফাইলিং কৌশল স্থাপন করা। এই সময়ে প্রকৃতপক্ষে, মোট ৯.০১ লক্ষ সিইউএম ব্যালাস্ট সরবরাহ এবং স্থাপন করা হয়, যা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জন্য সর্বাধিক। যার বার্ষিক লক্ষ্য থেকে ৩৬.৫২ শতাংশ অর্থাৎ ৬.৬০ লক্ষ সিইউএম অধিক। তাছাড়া, রেল পুনর্নবীকরণ (৩৪৮.৬৮ টিকেএম) এবং স্লিপার পুনর্নবীকরণ (৩৩৭.৪৮ টিকেএম)-এর মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক কার্য সম্পন্ন করা হয়। এটি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অগ্রগতি। ট্র্যাক ট্যাম্পিং ১০,৬৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে (লক্ষ্য থেকে ৩২ শথাংশ অধিক) এবং ৪.৮২৬টি পয়েন্ট ট্যাম্প করা হয়েছে। উভয়ই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাফল্য। এছাড়া, টার্নআউট পুনর্নবীকরণের ২৫৪.৫০ সমতুল্য সেট সম্পন্ন করা হয়েছে, এবং পয়েন্ট এবং ক্রসিংগুলিতে সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য ২১২টি ডব্লিউসিএমএস ক্রসিঙের সাথে ১৯৬টি থিক ওয়েব সুইচ স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টাগুলির পরিপূরক হিসেবে ১৪টি পিএসআর (পারমানেন্ট স্পিড রেস্ট্রিক্টশন) সরানো বা শিথিল করা হয়। ফলে সমস্ত ট্রেন চলাচলের সময়ে ২৬.১০ মিনিট সাশ্রয় হয়েছে।

২০২৪-২৫ সালে উন্নত যাত্রী সুবিধার জন্য নয়টি নতুন ফুট ওভার ব্রিজও নির্মাণ করা হয়। অতিরিক্তভাবে উন্নত ট্র্যাক অ্যাসেটের দক্ষতাপূর্ণ নিরীক্ষণ ও সুব্যবস্থার জন্য আপডেটেড ডিজিটাল রেজিস্টার এবং ইউনিফাইড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ থেকে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ লাভ হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উন্নত সময়ানুবর্তিতা, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডাউনটাইমে হ্রাস এবং যাত্রীদের সুরক্ষা উন্নত করা। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব ইঞ্জিনিয়ারিং টিমকে তাঁদের উৎসর্গ এবং কৌশলগত কার্য সম্পাদনের জন্য প্রশংসা করে বলেন, প্রকল্পটি জোনাল ফ্রন্টে একটি নিরাপদ, আরও আধুনিক এবং যাত্রী-কেন্দ্রিক রেলওয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রতি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে৷ সমস্ত ডিভিশনে এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের সাথে সাথে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ভারতীয় রেলওয়ের মধ্যে পরিকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্বের পথে এগিয়ে চলেছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / স্নিগ্ধা দাস




 

 rajesh pande