অমৃতসর, ১৩ মে (হি.স.): পঞ্জাবের অমৃতসরে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হল ১৭ জনের। এছাড়াও অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩ জন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসরের মাজিথায়। মঙ্গলবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অমৃতসরের মাজিথা এলাকার কয়েকটি গ্রামে বিষাক্ত মদ খেয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ভাঙ্গালি এবং মারারি কালান গ্রামের তিনজন এবং থারিভাল গ্রামের কয়েকজন যুবক রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এডিজিপি (আইন-শৃঙ্খলা) অর্পিত শুক্লা বলেছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন এবং আরও ৩ জন এখনও গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসাধীন। মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ইথানল অর্ডার করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। পঞ্জাবের ডিজিপি জানিয়েছেন, ডিএসপি ও মাজিথার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও)-কে বরখাস্ত করা হয়েছে।পঞ্জাবের মন্ত্রী হরপাল সিং চিমা বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা তাদের মৃত্যুদণ্ড দেব। তারা অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ করেছে। প্রাথমিক তদন্ত চলছে। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা ১৫ (পরে বেড়ে হয়েছে ১৭)। এটি মিথানলের বিষয়, যা শিল্পে ব্যবহৃত হয়...মানুষ মিথানল সেবন করে...মিথানল কেন্দ্রীয় সরকার সরবরাহ করে, তবুও আমরা এর পিছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিই। পঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া বলেন, যা ঘটেছে তার জন্য ভগবন্ত মান সরাসরি দায়ী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমৃতসরের এসএসপি মনিন্দর সিং বলেছেন, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আমরা খবর পাই, বিষাক্ত মদ খাওয়ার পর মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে ৪ জনকে আটক করেছি। আমরা প্রধান সরবরাহকারী পরবজিৎ সিংকে গ্রেফতার করেছি। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং মূল সরবরাহকারী সাহাব সিং সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমরা তাকেও আটক করেছি। এসএসপি আরও জানিয়েছেন, পঞ্জাব সরকার থেকে আমাদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিষাক্ত মদের সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযান চলছে। শীঘ্রই প্রস্তুতকারকদের গ্রেফতার করা হবে। কঠোর ব্যবস্থার অধীনে ২টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। সিভিল প্রশাসন এবং আমরা আরও হতাহত এড়াতে এবং মানুষকে বাঁচাতে এই মদ পানকারী আরও লোকজনকে খুঁজে বের করার জন্য ঘরে ঘরে যাচ্ছি। এই ঘটনাটি ৫টি গ্রামে ঘটেছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / রাকেশ