কলকাতা, ১৩ মে (হি.স.): কল্পনাতীত, এমন দিন যে কখনও দেখতে হবে ভাবিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার পুত্র সুখ হল না, পুত্র শোক হয়ে গেল! মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আর জি কর হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পাশে তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার।
এদিন রিঙ্কুর আগের পক্ষের একমাত্র ছেলের
দেহ নিউটাউনে শাপুরজি আবাসন থেকে উদ্ধার হয়। বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত টেকনো সিটি এলাকার শাপুরজির একটি আবাসনে বাস করতেন ২৭ বছরের প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয়। বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার পুলিশে খবর দিলে, পুলিশই গিয়ে দেহ বের করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথমে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের পাশে অবস্থিত, নিউ টাউন থানার উল্টো দিকের ওহিয়ো হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় স্বভাবতই শোকস্তব্ধ দিলীপ-রিঙ্কু।
এদিন রিঙ্কুর পাশে নিমতলা শ্মশানে ছিলেন দিলীপবাবু। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এটা এমন একটা ঘটনা, যার বর্ণনা দেওয়া যায় না। আমরা কল্পনাই করতে পারছি না। আমি তো এখনও বুঝতে পারছি না, কী হল। ওর মা সকালে রান্না করছিল। একটা ফোন এল। সেই অবস্থায় দৌড়ে চলে গেল। এখন এখানে এসে পৌঁছেছি আমরা।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত