কদমতলা (ত্রিপুরা), ১৩ মে (হি.স.) : ডাকাতের বেশে এসে মারপিট করে ঘর থেকে নগদ এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের গলার চেইন, এক জোড়া কানের দোল নিয়ে গেল একদল দুষ্কৃতী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন রানীবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২নং ওয়ার্ড এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রানীবাড়ি বাজার সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা শুক্রা বাউরীর স্ত্রী রনি বাউরী সাথে একই ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মঙ্গল নায়ক (৪১) এর অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ নিয়ে শুক্রা বাউরীর সাথে স্ত্রী রনি বাউরীর সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হতে শুরু করে। সোমবার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এমত অবস্থায় সোমবার রাত ১টা নাগাদ রনি বাউরীর বাবা, কাকা, ভাই সহ মোট ৬জন ডাকাতের বেশ ধারণ করে শুক্রা বাউরীর বাড়িতে এসে হামালা চালায়।
ঘর থেকে নগদ এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের গলার চেইন, এক জোড়া কানের দোল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন শুক্রা বাউরী সহ পরিবারের সদস্যরা। এতে শুক্রা বাউরী সহ তার ভাই বুধু বাউরী, মা দেবমতী বাউরী, ভাইয়ের স্ত্রী কৃষ্ণা বাউরী গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে বজেন্দ্রনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। আহতের মধ্যে বুধু বাউরীর স্ত্রী কৃষ্ণা বাউরী অন্তঃসত্ত্বা।
এদিকে, খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে যায় কদমতলা থানার পুলিশ। থানার এসআই মানিক দত্ত জানান, রানীবাড়ি বাজার সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ড এলাকায় বাসিন্দা শুক্রা বাউরীর স্ত্রী রনি বাউরীর সাথে একই এলাকার বাসিন্দা মঙ্গল নায়কের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। রনি বাউরী নিজেই স্বামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে মঙ্গল নায়কের বাড়িতে যায়। আহতদের পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশ এসআই মানিক দত্ত।
বর্তমানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মঙ্গল নায়েক নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি জানান, এই এলাকাতে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা কোনদিন হয়নি। পুলিশ যাতে সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ