ডাকনাম ছিল চন্দ্র, ১৭ মে ভাগবত চন্দ্রশেখরের জন্মদিন
মহীশূর, ১৬ মে (হি.স.): ভাগবত সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর। জন্ম ১৭ মে, ১৯৪৫ মহীশূরের কর্নাটকে। তিনি ভারতের প্রাক্তন বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত লেগ স্পিনার। ‘চন্দ্র’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই লেগ স্পিনার
ডাকনাম ছিল চন্দ্র, ১৭ মে ভাগবত চন্দ্রশেখরের জন্মদিন


মহীশূর, ১৬ মে (হি.স.): ভাগবত সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর। জন্ম ১৭ মে, ১৯৪৫ মহীশূরের কর্নাটকে। তিনি ভারতের প্রাক্তন বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত লেগ স্পিনার। ‘চন্দ্র’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই লেগ স্পিনার ১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে ই.এ.এস. প্রসন্ন, বিষেন সিং বেদী ও শ্রীনিবাসন ভেঙ্কটরাঘবনকে নিয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট এবং বিশ্ব ক্রিকেটে।

৬ বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হলে তার ডানহাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১০ বছর বয়সে তার হাত আরোগ্যলাভ করলে ক্রিকেটের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। ক্রিকেটের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন নিজ শহর মহীশূরে। বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় লেগ স্পিনার রিচি বেনোর খেলার ধরন শৈশবেই তার নজর কাড়ে। ষোল বছরের দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনে ৫৮ টেস্টে অংশ নিয়ে ২৯.৭৪ গড়ে ২৪২ টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন। ১৯৬৩ সালে তিনি লেগ স্পিন বোলার হিসেবে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। তার এ চিন্তাধারা সঠিক হিসেবে প্রমাণিত হয় ও খুব দ্রুত জাতীয় দলে খেলার জন্য নির্বাচিত হন।

১৯৬৪ সালে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বম্বে টেস্ট ম্যাচে তার অভিষেক হয়। ওই টেস্টে তিনি চার উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম টেস্ট জয়ে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে ওভালে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৬/৩৮ পেয়েছিলেন। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার এই বোলিং পরিসংখ্যান ২০০২ সালে উইজডেন কর্তৃক শতাব্দীর সেরা ভারতীয় বোলিং নৈপুণ্যরূপে বিবেচিত হয়। ১৯৭৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে প্রসন্নকে নিয়ে ১৯টি উইকেট নিয়ে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন। এছাড়াও, ১৯৭৭-৭৮ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের প্রথম টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। তবে ব্যাটহাতে তার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ৪.০৭। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে টেস্ট ম্যাচে তিনি ২৩বার শূন্য রানের আউট হন। ১৯৬৪ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কর্তৃক বর্ষসেরা ভারতীয় ক্রিকেটার মনোনীত হন। ১৯৭২ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে ঘোষণা করে। একই বছরে পদ্মশ্রী ও অর্জুন পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / শান্তি রায়চৌধুরি




 

 rajesh pande