আন্দোলন থেকে পিছু না হঠার অঙ্গীকার চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
কলকাতা, ১৭ মে (হি.স.): প্রয়োজনে আজীবন জেলে থাকবেন, কিন্তু নিজেদের হক আদায়ের আন্দোলন থেকে পিছু হঠবেন না। শুক্রবার বিকাশ ভবনের সামনের জমায়েত থেকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সমাবেশের শুরুতেই ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধি
আন্দোলন থেকে পিছু না হঠার অঙ্গীকার চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের


কলকাতা, ১৭ মে (হি.স.): প্রয়োজনে আজীবন জেলে থাকবেন, কিন্তু নিজেদের হক আদায়ের আন্দোলন থেকে পিছু হঠবেন না। শুক্রবার বিকাশ ভবনের সামনের জমায়েত থেকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

সমাবেশের শুরুতেই ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-র আহ্বায়ক মেহেবুব মণ্ডল বলেন, কসবার ডিআই অফিসে লাথি পড়েছিল। আবারও পড়ল৷ তারও অনেক আগেই চাকরি কেড়ে পেটে লাথি মেরেছে। পেটে লাথি পড়েছে বলেই আজ আমরা রাস্তায়। এই রাস্তা ছাড়ছি না সসম্মানে কোনওরকম পরীক্ষা ছাড়াই স্কুলে ফেরা না পর্যন্ত। আমাদের রক্ত ঝরিয়ে আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা। কী হবে, জেলে যাব। জেলে বসে দু'বেলা দু'মুঠো খেতে তো পাব। তাই, হয় স্কুলে ফিরব না হয় জেলে যাব।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি তরফে অমিত মণ্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার কী আক্রমণ হয়েছিল তা সকলেই জানেন। রাত 8টা থেকে আমাদের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছিল এমন নয়। দুপুরবেলা থেকেই আমাদের উপর আক্রমণ শুরু হয়। এক রাজনৈতিক নেতা ও তার সঙ্গীরা এসে আমাদের উপর আক্রমণ করে।”

অমিতবাবু বলেন, “তারপরে রাতে পুলিশের লাঠি। গভীর রাতের বাইক বাহিনীর দাপট। তারপরও আমরা পিছু হঠিনি। হঠব না। আমাদের স্কুলে ফেরাতে হবে। আমরা নতুন করে পরীক্ষা দেব না। যে পুলিশের আধিকারিকরা হালকা বলপ্রয়োগের কথা বলছেন তাঁদের কাছে আমরা গতকালের রক্তাঝরা ছবির স্মারক দিয়ে আসব। দেখে নেবেন কারা প্রথম মারমুখী হয়েছিলেন।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande