বিলোনিয়া (ত্রিপুরা), ২০ মে (হি.স.) : স্ত্রী ও মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। সুশাসনের ত্রিপুরায় বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কান্ডারীদের ঘরেই বেটিরা আক্রান্ত। মামলার পরেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার সাহস দেখাতে পারছে না বলে অভিযোগ।
দক্ষিণ ত্রিপুরার পিআর বাড়ি থানার অন্তর্গত রাজনগর ব্লকের একিনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়াতেটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি জয়লাভ করে। এই পঞ্চায়েতের সদস্য চন্দন দেবনাথ। তের বছর পূর্বে রাজনগর ব্লকের ডিমাতলি এলাকার অনিমা দেবনাথের সাথে একিনপুর তেবারিয়ার চন্দন দেবনাথের বিয়ে হয়। তাদের ১১ বৎসরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের কয়েক বছর তাদের সংসার ভালই ছিল।বিজেপি জোট সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে যুক্ত হওয়ার পর সংসারে নেমে আসে অশান্তি। নেশা সেবন করে প্রতিদিন স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে চম্দন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার এলাকায় মীমাংসা সভাও হয়। কিন্তু কোন কিছুতেই চন্দনের কোন পরিবর্তন নেই।
গত ১৭ মে চন্দন দেবনাথ ও তার বাবা খোকন দেবনাথ মিলে অনিমা দেবনাথকে প্রচণ্ডভাবে মারধর করে। প্রতিবারের মত মাকে বাঁচাতে এলে তাদের নাবালিকা মেয়েটিকেও রেহাই দেয়নি চন্দন দেবনাথ এবং খোকন দেবনাথ। আহত অবস্থায় অনিমাকে চোত্তাখলা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। মেয়েটিকে এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়।
অভিযোগ অনিমা দেবনাথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে অনিমাকে প্রাণ নাশের হুমিকে দিয়ে আসে স্বামী তথা পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন দেবনাথ। ঘটনা জানিয়ে সোমবার পি আর বাড়ি থানায় একটি অভিযোগ লিখিত ভাবে জানায় চন্দন দেবনাথের স্ত্রী অনিমা দেবনাথ। জানা গিয়েছে, পুলিশ অভিযুক্ত চন্দন দেবনাথ ও তার বাবা খোকন দেবনাথকে গ্রেফতার করছে না।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ