হাফলং (অসম), ২৪ মে (হি.স.) : অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ের ছোট লাইসং গ্রামে প্রথম আপেল গাছে ফল ধরেছে। এই অঞ্চলে আপেল চাষের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
এর আগে পাহাড়ি জেলায় আপেল চাষ করতে দেখা যায়নি। ছোট লাইসং গ্রামে এবার চাষিরা আপেল চাষের ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছেন। পাহাড়ি জেলায়ও যে আপেল চাষ সম্ভব তা এবার দেখিয়ে দিয়েছে ছোট লাইসং গ্রামের গ্রামবাসীরা।
অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে, যা স্থানীয় জলবায়ুর জন্য উপযুক্ত আপেলের জাত চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের জলবায়ুতে আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখানো একটি জনপ্রিয় জাত আন্না। গোল্ডেন ডরসেট এই অঞ্চলে সফলভাবে চাষ করা আরেকটি জাত।
এইচআরএমএন ৯৯ এই জাতটি অসমেও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আপেল চাষ অসমের কৃষকদের তাদের ফসলের বৈচিত্র্য আনার জন্য একটি নতুন সুযোগ প্রদান করতে পারে বলে মনে করছেন ছোট লাইসং গ্রামের গ্রামবাসীরা।
সফল আপেল চাষ কৃষকদের জীবিকা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতে এক বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এই কৃতিত্ব অর্জন শস্য উদ্যান পালনে গবেষণা ও উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দিতে এক সহায়ক ভূমিক গ্রহণ করার পাশাপাশি আরও উদ্ভাবন এবং উন্নতি সম্ভব করে তুলবে। পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা অধ্যয়ন ও পরিচালনা অব্যাহত থাকলে অসমে আপেল চাষের পদ্ধতিগুলিকে বিকশিত করতে সাহায্য করবে নিশ্চিত, মনে করছেন অনেকেই।
পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই কৃষি পদ্ধতি বাস্তবায়ন এক দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে কৃষকদের জন্য। স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং সম্পদ প্রদানের মাধ্যমে তারা কার্যকরভাবে আপেল চাষের পদ্ধতি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। সামগ্রিকভাবে ছোট লাইসং গ্রামে আপেলের সফল চাষ অসমের কৃষিক্ষেত্রের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক উন্নয়ন, যা কৃষকদের জন্য নতুন সুযোগ প্রদান করবে। তাছাড়া এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক বিশেষ অবদান রাখতে সম্ভব হবে আপেল চাষ, জানিয়েছেন ছোট লাইসং গ্রামের বাসিন্দারা।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব