অশোক সেনগুপ্ত
কলকাতা, ২৪ মে (হি.স.): বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর ১৪০ তম জন্মবার্ষিকী রবিবার। তার প্রাক্কালে গার্ডেনরিচ রোডের নাম রাসবিহারী বসু সরণি করার দাবি তুললেন স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশিষ্ট গবেষক, প্রাক্তন অধ্যাপক শুভেন্দু মজুমদার।
শুভেন্দুবাবু শনিবার জানিয়েছেন, “মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসুকে আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি ! কলকাতা তথা সারা বাংলা তথা মাতৃভূমি ভারতবর্ষের সাথে রাসবিহারী জৈবিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ১৯১৫ সালের মে মাসের ১২ তারিখে । কেননা ঐ দিনই তিনি আত্মগোপন করে জাপানের পথে পাড়ি দেন । একটা ভাড়া-করা ঘোড়ার গাড়িতে করে দুই ছায়াসঙ্গী শচীন সান্যাল ও নগেন দত্তকে (গিরিজাবাবু) সাথে নিয়ে গার্ডেনরিচ রোড ধরে তিনি খিদিরপুর ডকে এসে হাজির হন ।
সানুকিমারু জাহাজে চেপে দেশত্যাগ করেন মহাবিদ্রোহী রাসবিহারী । তাঁর নশ্বর দেহটি ভারত ছেড়ে গেলেও তাঁর হৃদয়ের অন্তঃস্থলে , তাঁর মননের গভীরে ছিল মাতৃভূমির স্বাধীনতার স্বপ্ন ! সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য অবিচ্ছিন্নভাবে বিদেশের মাটিতে বসে তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন ! অকৃতজ্ঞ জাতি হিসাবে আমরা তাঁকে ভুলে গেলেও জাপান তাঁকে ভোলেনি ! জাপানের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন রাসবিহারী ।
মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসুর আসন্ন ১৪০ তম জন্মদিনে আমরা কি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় এই কলকাতা শহরে এমন কোন স্মারক করতে পারে না যা ঐতিহাসিকভাবেই রাসবিহারীর স্মৃতি বহন করবে ? রাসবিহারী বসুর নামে খিদিরপুর ডক হলে নিশ্চিতভাবেই তাঁর প্রতি আমাদের যথার্থ শ্রদ্ধা প্রদর্শন হত। কিন্তু সেটা যখন আর করার উপায় নেই তখন গার্ডেনরিচ রোডের নাম রাসবিহারী বসু সরণি করার ক্ষেত্রেও কি রাজনীতির দড়ি টানাটানির খেলায় অংশ নিতে হবে ?
সাবেক মুরগিহাটায় ব্রাবোর্ন রোডের পশ্চিমে ক্যানিং স্ট্রিটের একাংশের নাম হয়েছে বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর স্মরণে।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত