বাজা‌রিছড়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা কাণ্ডে পু‌লি‌শের হাতে গ্রেফতার আরও দুই
বাজা‌রিছড়া (অসম), ২৪ মে (হি.স.) : গলায় ফাঁস জড়িয়ে রহস্যজনকভা‌বে নববিবা‌হিত জনৈক গৃহবধূর আত্মহত্যা কাণ্ডে পু‌লি‌শের হা‌তে গ্ৰেফতার হয়েছেন আরও দুজন। তাঁরা মৃতার শ্বশুর নকুল বৈদ্য এবং দেবর বৈদ্য। তাদের‌কে শুক্রবার রা‌তে নিজের বা‌ড়ি থে‌কে গ্রেফতার ক‌রেছ
গৃহবধূর আত্মহত্যা কাণ্ডে গ্রেফতার মৃ‌তার শ্বশুর ও দেবর


বাজা‌রিছড়া (অসম), ২৪ মে (হি.স.) : গলায় ফাঁস জড়িয়ে রহস্যজনকভা‌বে নববিবা‌হিত জনৈক গৃহবধূর আত্মহত্যা কাণ্ডে পু‌লি‌শের হা‌তে গ্ৰেফতার হয়েছেন আরও দুজন। তাঁরা মৃতার শ্বশুর নকুল বৈদ্য এবং দেবর বৈদ্য। তাদের‌কে শুক্রবার রা‌তে নিজের বা‌ড়ি থে‌কে গ্রেফতার ক‌রেছে পু‌লিশ। আজ শ‌নিবার নকুল এবং পরিতোষকে শ্রীভূমি জেলা সদরে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রের আদাল‌তে পেশ করা হ‌লে তা‌দের ঠাঁই হয় জেল হাজ‌তে।

এর আগে চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আত্মঘাতী গৃহবধূর স্বামী পলাশ বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছিল পু‌লি‌শ। পলাশও বর্তমা‌নে জেল হাজ‌তে।

রহস্যজনক মর্মা‌ন্তিক ঘটনা‌টি ঘ‌টে‌ছে বাজা‌রিছড়া থানা‌ধীন রাধাপ্যারী গ্রাম পঞ্চায়েতর গোপালপুর গ্রা‌মে। আত্মঘাতী গৃহবধূর নাম অঙ্কিতা শুক্ল‌বৈদ্য। জানা গে‌ছে, অঙ্কিতার বা‌পের বা‌ড়ি নিলামবাজা‌রের দাসগ্রা‌মে। গত ফাল্গুন মা‌সে পলাশ ও অঙ্কিতার সামা‌জিকভা‌বে বি‌য়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর তা‌দের দাম্পত্য জীব‌নে কোনও অজ্ঞাত কারণে বিবাদ চল‌ছিল।

সূত্রের খবর, গত ১৬ মে বিকালের দিকে বা‌ড়ির সদস্যদের অনুপ‌স্থি‌তি‌তে গৃহবধূ অঙ্কিতা তাঁর শয়ন ক‌ক্ষে সি‌লিং ফ্যা‌নের সা‌থে গলায় দ‌ড়ি দিয়ে ফাঁস জড়িয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনা‌টি দেখে খবর দেওয়া হ‌য় বাজা‌রিছড়া থানায়। খবর পেয়ে পু‌লি‌শের এসআই প্রভাকর চৌধুরী দলবল নি‌য়ে অকুস্থলে ছুটে যান। প্রাথমিক তদন্ত করে অঙ্কিতার মৃত‌দেহ উদ্ধার ক‌রে পরের দিন শিলচর মে‌ডি‌ক্যাল ক‌লেজ ও হাসপাতালের ফ‌রেন‌সিক ল্যা‌বে ময়না তদ‌ন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়না তদন্তের পর র‌বিবার অঙ্কিতার মৃতদেহ তাঁর বা‌পের বা‌ড়ির লোক‌দের হা‌তে সমঝে দেওয়া হয়।

এদিকে শ্বশুর বা‌ড়ির লোক‌দের দায়ী ক‌রে বাজারিছড়া থানায় এক অভিযোগ দা‌য়ের ক‌রেন অঙ্কিতার বাপের বাড়ির লোকজন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে বাজা‌রিছড়া পু‌লিশ দুই দফায় তিন অভিযুক্ত‌কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

অন্যদিকে অঙ্কিতার স্বামীর বা‌ড়ির লোক‌দের দা‌বি, তারা নি‌র্দোষ। বেঙ্গালুরু‌তে যা‌বে ব‌লে অন্য পুরু‌ষের সা‌থে প‌রিকল্পনা করছিলেন অঙ্কিতা। তারা এতে বাধা দেন। এক সম‌য় অঙ্কিতা তার বা‌পের বা‌ড়ির লোক‌দের সা‌থে ফো‌নে বার্তালা‌প করেন। এর পর নিজে‌ আত্মহত্যা করে। ওই বার্তালা‌পের রেক‌ডিং তা‌দের হা‌তে মজুত আছে বলে দাবি করেছেন তারা।

হিন্দুস্থান সমাচার / মনোজিৎ দাস




 

 rajesh pande