বিশ্ব শান্তির বার্তা নিয়ে সাব্রুম থেকে ধর্মনগর পর্যন্ত বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পদযাত্রা
সাব্রুম (ত্রিপুরা), ২৪ মে (হি.স.) : শনিবার এক অনন্য উদ্যোগের সাক্ষী রইল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। ভারত বাংলা মৈত্রী সেতুর সম্মুখ প্রান্ত থেকে সূচনা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহাসিক পদযাত্রা — ধাম্মা ইয়াত্রা। এই যাত্রা সাব্রুম থেকে শুরু হয়ে রাজ্যের উত
পদযাত্রা


সাব্রুম (ত্রিপুরা), ২৪ মে (হি.স.) : শনিবার এক অনন্য উদ্যোগের সাক্ষী রইল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। ভারত বাংলা মৈত্রী সেতুর সম্মুখ প্রান্ত থেকে সূচনা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহাসিক পদযাত্রা — ধাম্মা ইয়াত্রা। এই যাত্রা সাব্রুম থেকে শুরু হয়ে রাজ্যের উত্তরাংশে অবস্থিত ধর্মনগর পর্যন্ত যাবে, যার মূল উদ্দেশ্য গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।

এই পদযাত্রায় অংশ নেন থাইল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম থেকে আগত বিশিষ্ট বৌদ্ধ ভিক্ষরা। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনগণও। ধাম্মপদ অনুসরণে এবং বুদ্ধের অহিংসাবাদের দর্শনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই যাত্রা আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

পদযাত্রার সূচনালগ্নে উপস্থিত ছিলেন ৩৯ মনু বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মাইলাফ্রু মগ, ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক কাউন্সিলের (টিটিএএডিসি) এমডিসি কংজং মগ, বিশিষ্ট সমাজসেবী তাপস লোধ সহ আরও অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন -এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ভেন খেমাছাড়া এবং থাইল্যান্ড থেকে আগত প্রখ্যাত বৌদ্ধ ধর্মগুরু ভান্তে সুপ্রীত।

এই পদযাত্রা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি এক শক্তিশালী বার্তা— সহিংসতা, যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বের বিপরীতে শান্তি, সহনশীলতা ও মানবতাবাদের জন্য আহ্বান। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই ধাম্মা ইয়াত্রা নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

বিধায়ক মাইলাফ্রু মগ বলেন, “বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ এবং হানাহানির আবহে এই ধাম্মা ইয়াত্রা এক নতুন আশার আলো। আমরা বুদ্ধের বাণী অনুসরণ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

একইসঙ্গে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা জানান, “এই যাত্রা কেবল আমাদের ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ নয়, বরং মানবজাতির প্রতি আমাদের কর্তব্য— শান্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়া।”

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande