গুয়াহাটি, ৩ মে (হি.স.) : গতকাল ২ মে অসমে অনুষ্ঠিত প্ৰথম দফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭০.১৯ শতাংশ। প্রথম দফার ভোটে বেশ অবাঞ্ছিত বিক্ষিপ্ত ঘটনার জন্য রাজ্যের ৪৩টি বুথের ভোট বাতিল করে ওই সব বুথে আগামীকাল ৪ মে পুনর্ভোটের নির্দেশ দিয়েছেন অসম রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অলোক কুমার। আজ শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতর থেকে এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল সকাল ৭:৩০টা থেকে বিকাল ৪:৩০টা পৰ্যন্ত প্ৰধম দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বরাক উপত্যকার তিন জেলা যথাক্ৰমে কাছাড়, হাইলাকান্দি ও শ্রীভূমি সহ তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, চড়াইদেও, গোলাঘাট, শিবসাগর, মাজুলি, যোরহাট, ধেমাজি, লখিমপুর, শোণিতপুর এবং বিশ্বনাথ জেলায়।
কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ছাড়া সামগ্রিক ভোট প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, মাজুলিতে সর্বোচ্চ ৮০.০২ শতাংশ এবং শোণিতপুরে সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
তবে, ব্যালট বাক্সে ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলা, মারপিটের দরুন নির্বাচন কমিশন মোট ৪৩টি ভোটকেন্দ্রে পুনর্ভোটের ঘোষণা করেছে। আগামীকাল যে সব জেলার ৪৩টি বুথে পুনৰ্ভোট হবে সেগুলির মধ্যে সর্বাধিক হাইলাকান্দি জেলায়। হাইলাকান্দিতে ৩১টি, শ্রীভূমি জেলায় আটটি, লক্ষ্মীপুরে দুটি, গোলাঘাটে একটি এবং মাজুলিতে একটি বুথে পুনর্ভোট হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ৭ মে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ধুবড়ি, দক্ষিণ শালমারা মানকাচর, গোয়ালপাড়া, বঙাইগাঁও, বরপেটা, বজালি, নলবাড়ি, কামরূপ, কামরূপ (মেট্রো)-র একাংশ, হোজাই, নগাঁও, মরিগাঁও এবং দরং জেলায়।
প্রসঙ্গত এবারের ২০২৫ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১,৮০,৩৬,৬৮২, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১৩.২৭ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯০,৭১,২৬৪ জন; মহিলা ভোটার ৮৯,৬৫,০১০ জন এবং অন্যান্য ৪০৮ জন।
দুই দফায় অনুষ্ঠিত ভোটের গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা হবে ১১ মে। প্ৰসঙ্গত, ২৮টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকি সাতটি জেলা সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের অন্তৰ্ভুক্ত এবং স্থানীয় পর্যায়ে স্বশাসিত পরিষদের অধীন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে মোট ৩৪৮টি জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদ আসন ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে নির্দলীয় ছাড়া ৩২৫টি আসনে বিজয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস