ফাজিল পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম বাসন্তীর ইয়ামিন
বাসন্তী ,৩ এপ্রিল (হি.স.) : দারিদ্র্যকে হেলায় হারিয়ে রাজ্যে ফাজিল পরীক্ষায় প্রথম হল বাসন্তীর ইয়ামিন শেখ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৬২। বাসন্তীর খেরিয়া সিদ্দিকীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র সে। ভবিষ্যতে প্রফেসর হওয়ার ইচ্ছে ইয়ামিনের। এই ফলে খুশি তার পরিব
ফাজিল পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম বাসন্তীর ইয়ামিন


বাসন্তী ,৩ এপ্রিল (হি.স.) : দারিদ্র্যকে হেলায় হারিয়ে রাজ্যে ফাজিল পরীক্ষায় প্রথম হল বাসন্তীর ইয়ামিন শেখ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৬২। বাসন্তীর খেরিয়া সিদ্দিকীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র সে। ভবিষ্যতে প্রফেসর হওয়ার ইচ্ছে ইয়ামিনের। এই ফলে খুশি তার পরিবার থেকে শুরু করে মাদ্রাসার শিক্ষকরা।

বাসন্তী থানার কাঁঠালবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়ামিন। বাবা ইব্রাহিম শেখ ক্যানিং গদখালী রুটের ম্যাজিক গাড়ির চালক। মা নুন্নেসা সামান্য গৃহবধূ। তাঁদের ৩ সন্তানই পড়াশুনায় ছোট থেকেই মেধাবী। ইয়ামিন বড় সন্তান। আর্থিক অনটনের মধ্যেও পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা সকলেই। মাটির ভাঙা ঘরে এসব্যাসটসের ছাউনি। সারা বাড়িতেই দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। সেখান থেকেই রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছে ইয়ামিন। মাদ্রাসার শিক্ষকরাই ছিলেন তার অন্যতম ভরসা, কোনও গৃহশিক্ষক ছিলেন না। মোবাইল ফোনে অনলাইনে পড়াশুনা এবং নিজের উদ্যোগেই পড়াশুনা চালিয়ে যেত ইয়ামিন। এভাবেই আলিম পরীক্ষায় সকলকে তাক লাগিয়ে রাজ্যের মধ্যে সপ্তম হয়েছিল ইয়ামিন। আর এবার ফাজিল পরীক্ষায় প্রথম সে। ভবিষ্যতে নেট, সেট পরীক্ষায় পাশ করে প্রফেসর হতে চায় ইয়ামিন। নিজের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সে বলে, “ ভালো রেজাল্ট হবে জানতাম, কিন্তু একেবারে প্রথম হব সেটা আশা করিনি। এসবই সম্ভব হয়েছে আমার পরিবারের গুরুজন ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য। তাঁরা সকলে সবসময় আমার পাশে ছিলেন।”

ছেলের সাফল্যে খুশি তার বাবা ও মা। খুশিতে চোখে জল তাঁদের। প্রতিকূলতাকে জয় করে যে সফলতা ছেলে পেয়েছে তাতে তাঁরা ভীষণ খুশি। বাবা ইব্রাহিম বলেন, “ ছেলে ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভালো। সামান্য ম্যাজিক গাড়ি চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে ওদের পড়াশুনার খরচ চালাই। ভাঙা বাড়ি সারাই পর্যন্ত করতে পারিনি। উপরওয়ালার আশীর্বাদ আর ওর অধ্যাবসায় এই সাফল্যের কারণ। আমরা ভীষণ খুশি।” মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মইনুল হক বলেন, “ পড়াশুনা নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস ইয়ামিন। আলিম পরীক্ষায়ও রাজ্যের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল। আমরা চেষ্টা করেছি যাতে ওর পড়াশোনায় কোনও সমস্যা না হয়। যখন সমস্যা হয়েছে, আমরা পাশে থেকেছি। ও আরও সফল হোক।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande