রিধিকার চিকিৎসায় সহযোগিতা লাভলী মৈত্রর, প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকার ভ্যাকসিন
সোনারপুর, ৪ এপ্রিল (হি.স.) : বিরল রোগে আক্রান্ত সোনারপুরের এক বছরের শিশু রিধিকা দাসের চিকিৎসার জন্য শুরু হয়েছে জীবন-মরণের লড়াই। মাত্র ৪ মাস বয়সে তার শরীরে ধরা পড়ে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি টাইপ ১—এ একটি বিরল ও প্রাণঘাতী রোগ। ধীরে ধীরে তার শরীরের ন
রিধিকার চিকিৎসায় সহযোগিতা লাভলী মৈত্রর, প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকার ভ্যাকসিন


সোনারপুর, ৪ এপ্রিল (হি.স.) : বিরল রোগে আক্রান্ত সোনারপুরের এক বছরের শিশু রিধিকা দাসের চিকিৎসার জন্য শুরু হয়েছে জীবন-মরণের লড়াই। মাত্র ৪ মাস বয়সে তার শরীরে ধরা পড়ে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি টাইপ ১—এ একটি বিরল ও প্রাণঘাতী রোগ। ধীরে ধীরে তার শরীরের নড়াচড়ার ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। পা ও ঘাড়ের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। শিশুর এই হঠাৎ শারীরিক অবনতিতে চিন্তায় পড়ে যান বাবা বাপন দাস ও মা হৈমন্তী দাস। চিকিৎসকদের পরামর্শে পরীক্ষা করানোর পর নিশ্চিত হয় রিধিকা মাসকুলার অ্যাট্রোফি-তে আক্রান্ত। এই রোগের একমাত্র কার্যকর প্রতিকার হল একটি ভ্যাকসিন, যার দাম প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষক বাপন দাস ও তার পরিবার এই বিপুল অঙ্কের অর্থ সংগ্রহে এখন দিশেহারা। ইতিমধ্যে তারা রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেবাশ্রয় প্রকল্পে ইতিমধ্যেই চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

এবার এই লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেসও। বিধায়ক লাভলী মৈত্র রিধিকার মা হৈমন্তী দাসের হাতে ৮ লক্ষ টাকার একটি চেক তুলে দেন এবং আরও সাহায্যের আশ্বাস দেন। তিনি জানান, এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানানো হয়েছে। লাভলী মৈত্র বলেন, “রিধিকার জন্য আমরা সবাই লড়ব। সকলের কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি, আসুন আমরা এক সঙ্গে এই শিশুকে নতুন জীবন দিই।”

রিধিকার মা হৈমন্তী দাস কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার মেয়ের বাঁচার আর মাত্র এক বছর সময় আছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, একটু করে সাহায্য করুন, যাতে ওর প্রাণ বাঁচে।”

এই আবেদনে ইতিমধ্যেই সাড়া দিতে শুরু করেছেন অনেকেই। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে সাহায্যের বার্তা। শিল্পী, সংগীতশিল্পী, সমাজসেবী ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে একটি বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হয়েছে রিধিকার প্রাণ বাঁচাতে। সোনারপুরের রুপনগরের এই ছোট্ট মেয়েটির পাশে দাঁড়াতে এখন সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সাহায্যই একমাত্র আশার আলো। একটি শিশুর প্রাণ যেন টাকার অভাবে হারিয়ে না যায়—এই আবেদন নিয়েই এগিয়ে চলছে দাস পরিবার।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande