আগরতলা, ৪ মে (হি.স.) : আগরতলা শহরের উন্নয়নের কাজে পুর নিগম, পূর্ত দপ্তর এবং স্মার্ট সিটি প্রকল্পের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। রবিবার আগরতলা পুর নিগমের ১৬, ২০ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এর বিভিন্ন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে প্রকারান্তরে এই অসন্তোষ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়নের কাজে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা রবিবার আগরতলা পুর নিগমের ১৬, ২০ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আধিকারিক ডাঃ শৈলেশ কুমার যাদব, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে সহ স্থানীয় কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।
মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলির সড়ক সংস্কার এবং নর্দমার ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগও শুনেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেক সমস্যা রয়েছে। সমস্যা রয়েছে বোঝাপড়ার। তিনি বলেন, আগরতলা পুর নিগমের সাথে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের যেমন বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে তেমনি স্মার্ট সিটির সাথে পূর্ত দপ্তরের সমস্যা রয়েছে।উন্নয়নের কাজে এই দপ্তরগুলির মধ্যে বোঝাপড়া থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্ষার আগেই শহরের বিভিন্ন কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোন কারণে বর্ষার আগে কাজ সারতে না পারলে এই কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। কাজ চালিয়ে যেতে হবে। শহরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এর কাজ 'আপ টু দ্যা মার্ক' বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়নের কাজ জনগণের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আগরতলা পুর নিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাও ঘুরে দেখেন। ওই ওয়ার্ডের অধীন শান্তিপাড়া এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট এবং পুকুর ঘুরে দেখেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শান্তিপাড়ার পুকুর নিয়ে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। পুকুরে একটি অত্যাধুনিক ঘাট নির্মাণ করা হবে।পুকুরের জল ফেলে দিতে হবে। তিনি আরো জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড এলাকার যেসব রাস্তাঘাট সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে সেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন শান্তিপাড়া এলাকার ক্ষেত্রমোহন স্কুলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিদ্যালয়টি একপ্রকার মুছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করে একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ