আগরতলা, ৪ মে (হি.স.) : ত্রিপুরায় পরিবহণ ব্যবসা মন্দা। যাত্রী পাচ্ছেন না রিকশা এবং অটোরিকশা চালকরা। এমনই দাবি করলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী তথা সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে। রবিবার তিনি দাবি করেছেন গত কয়েক বছরে ই-রিকশা এবং অটোরিকশার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা এতটাই বেড়েছে যে পরিবহণ শ্রমিকরা পর্যাপ্ত যাত্রী পরিবহণ করতে পারছেন না। তাতে তারা দৈনিক মজুরি পর্যন্ত অর্জন করতে পারছেন না।
চারটি শ্রম আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মঘটের আগে সিআইটিইউ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে রবিবার আগরতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে কনভেনশন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মানিক দে বলেন, “আজকাল পরিবহণ শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চারটি শ্রম আইন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মাসিক বেতনের ধারণা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। পরিবহণ শ্রমিকরা যে অবশিষ্ট সুবিধা ভোগ করতেন তাও স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, দেশের সমস্ত প্রধান ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থা ২০শে মে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।”
ত্রিপুরা সম্পর্কে বলতে গিয়ে দে দুঃখ প্রকাশ করে মানিক দে বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে পুরো পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। মোটর-স্ট্যান্ডগুলি চাঁদাবাজির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিএমএস-এর ছাড়া অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থার সাথে যুক্ত মোটর শ্রমিকরা রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য চাকরির অভাবে পরিবহণ শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ করে মানিক দে বলেন, “পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে রিকশা এবং ই-রিকশা পরিবহণের জন্য পর্যাপ্ত যাত্রী অবশিষ্ট নেই।”
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ